হায়দরাবাদ: ফের ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন সূর্যকুমার যাদব। তবে ক্যামেরন গ্রিনের (Cameron Green) দুরন্ত অর্ধশতরান ও রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), তিলক বর্মা ও ঈশান কিষাণের তিনি ছোট্ট কিন্তু আগ্রাসী ইনিংসের সুবাদে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (SRH vs MI) ১৯২/৫ তুলল। অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন গ্রিন। তিলক বর্মা মাত্র ১৭ বলে ৩৭ রান করেন।


এদিন টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। এই ম্যাচেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের নেতৃত্বে ফেরেন রোহিত শর্মা। তাঁর পাশাপাশি এই ম্যাচে একাদশে ফেরেন জেসন বেরেনডর্ফও। ফলে যমজ ভাই মার্কো জানসেনের বিপরীতে ডুয়ান জানসেনের মাঠে নামা হল না। মুম্বইয়ের দুই ওপেনার রোহিত ও ঈশান কিষাণ শুরুটা কিন্তু বেশ ভালভাবেই করেন। দুই ওপেনার ৪১ রান যোগ করেন। রোহিত এই ম্যাচেই মাত্র চতুর্থ ব্যাটার হিসাবে আইপিএলে ছয় হাজার রানের গণ্ডি পার করে ফেললেন। তবে ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। রোহিতকে সাজঘরে ফেরান টি নটরাজন।


রোহিত আউট হওয়ার পর এদিন মুম্বই সকলকে খানিকটা চমকে দিয়েই ক্যামেরন গ্রিনকে তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে পাঠায় মুম্বই ম্যানেজমেন্ট। অজি তারকা ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্তকে কিন্তু নিজের দুরন্ত ব্য়াটিংয়ের মাধ্যমে সঠিকই প্রমাণ করেন। প্রথমে ঈশানের সঙ্গে ৪৬ ও তারপরে তিলকের সঙ্গে ৫৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন গ্রিন। ঈশান এদিন ৩৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে সূর্যকুমার ফের ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। তিনি মাত্র সাত রানে সাজঘরে ফেরেন। তবে তিলক বর্মার ঝোড়ো ইনিংস মুম্বইকে বড় রানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।


 






শেষের দিকে গ্রিনকে আরেক অজি তারকা টিম ডেভিডও যোগ্য সঙ্গ দেন। দুই অজি তারকা পঞ্চম উইকেটে ২১ বলে ৪২ রান যোগ করেন। ডেভিড ১৬ রান করেন। ইনিংসের শেষ বলে অবশ্য রান আউট হন তিনি। সানরাইজার্সের হয়ে বল হাতে মার্কো জানসেন সফলতম বোলার। তিনি ৪৩ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন। মুম্বই এই রান ডিফেন্ড করতে পারবে, না মারক্রামরা জয়ের হ্য়াটট্রিক করবেন, এখন সেটাই দেখার বিষয়।


আরও পড়ুন: অবিকল একই বোলিং অ্যাকশন! সিএসকে-কে ম্যাচ জেতানো 'বেবি মালিঙ্গা'-কে চিনে নিন