নয়াদিল্লি: প্লে অফে জায়গা পাকা করতে এই ম্যাচ জিততেই হত চেন্নাই সুপার কিংসকে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে চলতি আইপিএলে প্লে অফে চলে গেল চেন্নাই সুপার কিংস। ২২৪ রান তাড়া করতে নেমে ১৪৬/৯ রানেই আটকে গেল ডেভিড ওয়ার্নারের দল। ৮৬ রানের ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে ব্যর্থ হলেন ডেভিড ওয়ার্নার। আরও একটা হার দিয়ে এবারের আইপিএলে নিজেদের অভিযান শেষ করল দিল্লি ক্যাপিটালস।


রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই চালিয়ে খেলতে হল দিল্লির ওপেনারদের। কিন্তু সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন পৃথ্বী শ। মাত্র ৫ রান করেই ফিরে যান তিনি। ফিলিপ সল্ট ৩ রান করে ফেরেন। রিলি রসউ খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। যশ ধূলও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। ১৩ রান করে আউট হন তিনি। ১৫ রান করেন অক্ষর পটেল। কেউই ওয়ার্নারকে যথাযথ সঙ্গ দিতে পারেননি। দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্যাপ্টেন যদিও ঝোড়ো অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন। তিনি ৭টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৫৮ বলে ৮৬ রান করেন। ওয়ার্নার ফিরতেই দিল্লির জয়ের আশা প্রায় শেষ হয়ে যায়। 


এর আগে, ডেভন কনওয়ে (Devon Conway) এবং রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের (Ruturaj Gaikwad) দুরন্ত ওপেনিং পার্টনারশিপে ভর করে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ২২৩/৩ রান তুলল সিএসকে। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (MS Dhoni) । সিএসকের হয়ে গোটা মরসুমের সিংহভাগ ম্যাচেই রুতুরাজ ও কনওয়ে শুরুটা ভালই করেছেন। এই ম্যাচে তো দুইজনেই প্রথম থেকে আগ্রাসী ছন্দে ব্যাট করে দিল্লির বোলারদের চাপে ফেলেন। পাওয়ার প্লে-র ছয় ওভারে ৫২ রান তুলে ফেলে সিএসকে। মাত্র ৩৭ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন রুতু। কনওয়ের হাফসেঞ্চুরি আসে ৩৩ বলে।


স্পিন হোক বা ফাস্ট বোলিং, কোটলার পিচে দুই ধরনের বোলিংয়ের বিরুদ্ধেই সিএসকে ওপেনারদের দুরন্ত ছন্দে দেখায়। রুতুরাজ হু হু করে শতরানের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন। কিন্তু বাধ সাধেন চেতন সাকারিয়া। দিল্লির বাঁ-হাচতি বোলারের বিরুদ্ধে বড় শট খেলতে গিয়েই আউট হন রুতু। রানের গতি ধরের লক্ষ্যে তিন নম্বরে ছন্দে থাকা পাওয়ার হিটার শিবম দুবেকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেয় সিএসকে ম্যানেজমেন্ট। তিনি হতাশ করেননি। মাত্র নয় বলে ২২ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন তিনি।


খলিল আমেদের বলে শিবম দুবে আউট হওয়ার পর শেষ ১০ বলে ব্যাট হাতে উপস্থিত দর্শকদের প্রত্যাশামতোই মাঠে নামেন ধোনি। এ মরসুমে এর আগেও শেষের দিকে ব্যাটে নেমে ধোনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন। বড় শট হাঁকিয়েছেন। কিন্তু এদিন এমন কিছুই হল না। চার বলে মাত্র পাঁচ রান করেন তিনি। বরং জাডেজা সাত বলে ২০ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন।