আমদাবাদ: মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে ৩০ রানের মাথায় তাঁর ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন টিম ডেভিড। সেঞ্চুরি করে প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন শুভমন গিল (Shubman Gill)।
সোমবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে তুষার দেশপাণ্ডের (Tushar Deshpande) বলে যখন শুভমনের লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দিলেন দীপক চাহার, গুজরাত টাইটান্সের ওপেনার করেছিলেন (GT vs CSK) মাত্র ৩ রান। তিনি, বহু যুদ্ধের নায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (MS Dhoni) কি প্রমাদ গুনেছিলেন? যদি গিল-ঝড়ে তাঁদের স্বপ্নভঙ্গ হয়।
কিন্তু মুম্বই ম্যাচের মতো বিধ্বংসী হওয়ার সুযোগ পাননি শুভমন। বাঁহাতি স্পিনারের বিরুদ্ধে তাঁর দুর্বলতার কথা মাথায় রেখে রবীন্দ্র জাডেজাকে (Ravindra Jadeja) দিয়ে ছক কষলেন ধোনি। জাডেজার বাইরের দিকে বেরনো বলের হদিশ না পেয়ে স্টাম্পড হলেন গিল। ২০ বলে ৩৯ রান করে। উইকেটের পিছনে ধোনির ক্ষিপ্রতা দেখে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করলেন। ভদ্রলোকের বয়স কি সত্যিই একচল্লিশ পেরিয়েছে?
কে জানত যে, শুভমন ঝড় দানা বাঁধার আগে ফিরলেও, অজানা এক প্রতিপক্ষ আতঙ্ক তৈরি করবেন চারবারের চ্যাম্পিয়নদের শিবিরে! তিনি সাই সুদর্শন। ৪৭ বলে ৯৬ রান করলেন। ৮টি চার ও ৬টি ছক্কা মেরেছেন। এবারের আইপিএলের আবিষ্কার বলা হচ্ছে মাথিশা পাথিরানাকে। শ্রীলঙ্কার পেসার ডেথ ওভারে বিপজ্জনক। সেই পাথিরানার ১৪ বলে ৩৪ রান নিলেন সুদর্শন।
পাল্টা আক্রমণের শুরুটা করেছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। মাত্র ৩৯ বলে ৫৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন বঙ্গ উইকেটকিপার-ব্যাটার। শুভমনের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ৪২ বলে ৬৭ রান যোগ করলেন। দ্বিতীয় উইকেটে সুদর্শনের সঙ্গে ৪২ বলে ৬৪ রান যোগ করলেন। শেষ দিকে চালিয়ে খেলে ১২ বলে ২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন হার্দিক পাণ্ড্যও। ২০ ওভারে ২১৪/৪ তুলল গুজরাত। ম্যাচ জিততে ২১৫ রান তুলতে হবে চেন্নাইকে। আইপিএলের ফাইনালে এটাই এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে ২০১৬ সালে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্য়াট করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তুলেছিল ২০৮/৭। সেই রেকর্ডও ছাপিয়ে গেল গুজরাত।
চেন্নাই বোলাররা শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্তভাবে। প্রথম ২ ওভারে মাত্র ৮ রান উঠেছিল। কিন্তু ঋদ্ধির বল্লা চলতে শুরু করতেই হিসেব ওলট পালট হয়ে যায়। নিজের বলে ব্যক্তিগত ২১ রানে থাকার মাথায় ঋদ্ধিমান সাহার ক্যাচও ফেলেন দীপক চাহার। ৫ ওভারের শেষে গুজরাতের স্কোর ছিল ৪৯/০। শেষ ৪ ওভারে ৬১ রান তোলে গুজরাত।
চেন্নাই বোলারদের মধ্যে পাথিরানা ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে ৪৪ রান দেন। মহেশ তিকশানা কৃপণতম বোলিং করেন। কিন্তু তাঁর ৪ ওভারেও ওঠে ৩৬ রান।
অগ্নিপরীক্ষায় পাশ করবেন সিএসকে ব্যাটাররা?