চেন্নাই: টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে ধারাবাহিক ২ দল। আজ আরও একবার আমনে সামনে। প্লে অফের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস ও গুজরাত টাইটান্স। আজ প্রথম কোয়ালিফায়ারে কোন দল এগিয়ে? টুর্নামেন্টের ইতিহাসে মুখোমুখি সাক্ষাতে কোন দল কাকে টেক্কা দিয়েছে এর আগে, তা দেখা যাক -


এখনও পর্যন্ত আইপিএলের ইতিহাসে মোট ৩ বার মুখোমুখি হয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস ও গুজরাত টাইটান্স। আর তিনবারই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে হার্দিক পাণ্ড্যর দল। চলতি টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে গুজরাত চেন্নাইকে হারিয়ে দিয়েছিল আমদাবাদে। আজ কী হবে?


২ দলেরই ব্য়াটিং অর্ডার ভীষণ শক্তিশালী। গুজরাতের প্লাস পয়েন্ট শুভমনের রেড হট ফর্ম। চলতি টুর্নামেন্টে দুটো সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেছেন। বিরাট কোহলির মুখের সামনে থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছেন শেষ ম্যাচে আরসিবির বিরুদ্ধে। এছাড়াও বিজয় শঙ্কর, ডেভিড মিলার প্রত্যেকেই ফর্মে রয়েছেন। বোলিং ডিপার্টমেন্টে রশিদ খান, মহম্মদ শামি রয়েছেন। ২ জনেই পার্পল ক্য়াপ জয়ের দৌড়ে প্রথম দুটো স্থানে রয়েছেন। 


চেন্নাইয়ের ওপেনিং জুটি প্রতি ম্যাচেই প্রায় ধারাবাহিক। কনওয়ে-রুতুরাজ ২ জনেই ফর্মে রয়েছেন। রাহানে তিনে ভরসা জোগাবেন। এছাড়া দুবের ব্য়াট হাতে ধারাবাহিকতা প্লাস পয়েন্ট। চেন্নাইয়ের বোলিং লাইন আপ কিছুটা তরুণ। কিন্তু ধোনি খুব সুন্দরভাবে ব্য়বহার করছেন তুষার, পাথিরানাদের। 


এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের পিচ যত ম্যাচ এগোয় তত স্লো হতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে টস জিতে যে দল ব্যাটিং নেবে তারা অ্যাডভান্টেজ পাবে। তবে গুজরাত টাইটান্স টস জিতে ফিল্ডিংও নিতে পারে। হার্দিকদের ব্যাটিং যথেষ্ট শক্তিশালী। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও টার্গেট গুজরাতের সামনে কঠিন নয় এই মরসুমে। তবে প্রথমে ব্যাট করা দল যদি বোর্ডে ১৭০ বা তার বেশি রান তুলে ফেলতে পারে, তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্য়াট করতে নামা দলের সামনে কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকবেই। 


নজরে যারা


২ দলের ব্য়াটিং বিভাগের দিকে নজরে রাখলে সবার আগে শুভমন গিলের নামই বলতে হবে। অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে এই মুহূর্তে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। ফাফ ডু প্লেসিকে টপকে শীর্ষে চলে যাওয়ার সুযোগও রয়েছে এই তরুণ ব্যাটারের সামনে। ২ টো সেঞ্চুরি রয়েছে এবারের টুর্নামেন্টে। ১৪ ম্যাচে ঝুলিতে ৬৮০ রান। 


বোলিং ডিপার্টমেন্টের অন্যতম তুরুপের তাস হতে চলেছেন রশিদ খান। এখনও পর্যন্ত ২৪ উইকেট ঝুলিতে। পার্পল ক্য়াপের দৌড়ে শামির পরেই রয়েছেন।