আমদাবাদ: ক্রিজে ছিলেন। সেট ছিলেন। ৫৩ বলে ৫৯ রানে ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু তারপরও শেষ ওভারে দলকে জেতাতে পারেননি হার্দিক পাণ্ড্য। ১৩১ রান তাড়া করতে নেমে ১২৫ রানেই থেমে যায় গুজরাতের ইনিংস। ঘরের মাঠে এই হারের জন্য নিজেকেই দায়ী করছেন হার্দিক। 


উল্টোদিকে যখন ক্রমশ উইকেট পড়ছে, তখন ক্রিজের একপ্রান্ত ধরে খেলছিলেন হার্দিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় এনে দিতে পারেননি দলকে। খেলার শেষে বঢোদরার অলরাউন্ডার বলছেন, ''বোলারদের পুরো কৃতিত্ব প্রাপ্য। আর এই হারের দায় আমি নিজের কাঁধে নিতে চাই। আমি ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারিনি। উইকেট বেশ ভালই ছিল। কিন্তু উল্টোদিকে উইকেট পড়তে থাকায় সেই চাপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। রাহুল আমাদের ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিল। আমি চালিয়ে খেলে ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফিনিশ করতে পারিনি। অন্য কোনও দিন হলে হয়ত আমরা খুব সহজেই এই লক্ষ্যমাত্রা পৌঁছে যেতে পারতাম। কিন্তু গতকাল পারিনি।'' নিজের ইনিংসে সাতটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন হার্দিক। যদিও কোনও ওভার বাউন্ডারি ছিল না তাঁর ইনিংসে। এমনকী নিজের শেষ ১৩ বলে কোনও বাউন্ডারিও মারতে পারেননি তিনি। 


হার্দিক আরও বলেন, ''আমি আশা করেছিলাম যে কোনওভাবে মাঝের ওভারগুলোয় বড় রান তুলতে পারব। কিন্তু তা পারিনি আমরা। দিল্লির বোলাররা দারুণ বল করেছে। আমরা দ্রুত কিছু উইকেট হারিয়েই চাপে পড়ে গিয়েছিলাম।''


উল্লেখ্য, গতকালের ম্যাচে অত্যন্ত কম রানের পুঁজি নিয়েও বাজিমাত দিল্লির বোলারদের। আইপিএল লিগ তালিকার শীর্ষে থাকা গুজরাত টাইটান্সের (Gujarat Titans) দুরন্ত ব্যাটিংকে মাত্র ১২৫ রানে বেঁধে রেখে ৫ রানে ম্যাচ বের করে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals)।  আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মহম্মদ শামি (৪ /১১) আগুনে বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১৩০ রান খাড়া করতে সক্ষম হয়েছিল দিল্লি শিবির। তাঁদের টপ অর্ডারের সব ব্যাটারই কার্যত ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু দুই ইনিংসের মাঝে কে জানত, দিল্লির কপালেই জুটতে চলেছে দুরন্ত এক জয়। তবে শুধু ক্রিকেটদেবতাই নন, দিল্লির দুরন্ত জয়ের নেপথ্যে মূল কারিগর তাদের বোলাররা।


ইশান্ত শর্মা, খলিল আহমেদ থেকে আনরিখ নর্খে, কুলদীপ যাদবরা দুরন্ত বোলিংয়ের নমুনা মেলে ধরেন। গুজরাত শিবিরে শুরুতেই একের পর এক আঘাত এনে ইশান্ত-খলিলরা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়ছেন না তারা। ম্যাচ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে গুজরাতের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য-র জমাটি ব্যাটিং ও খেলার ১৯ তম ওভারে নর্খেকে রাহুল তেওয়াতিয়ার টানা তিনটি ছক্কা অবশ্য প্রবলভাবে ম্যাচ এনে দিয়েছিল গুজরাতের দখলে। যদিও শেষ ওভারে ১২ রান আটকানোর কাজে নেমে সফল হন আইপিএলের অভিজ্ঞ পেসার ইশান্ত শর্মা। শেষ ওভারে তেওয়াতিয়া ছাড়াও গুজরাতের গত কেকেআর ম্যাচের নায়ক বিজয় শঙ্করকে সাজঘরে ফেরান তিনি। যে ইনসুইংগারে ইশান্ত শঙ্করের স্টাম্প ছিটকে দিয়েছেন, তা সম্ভবত দুরন্ত বোলিং প্রদর্শন মেলে ধরা ম্যাচের দিনের সেরা বল।