কাবুল: আইপিএলের (IPL 2023) সময় তাঁদের দুজনের বিবাদ শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। হবে নাই বা কেন? নবীন উল হক (Naveen Ul Haq) যে বচসায় জড়িয়েছিলেন বিরাট কোহলির (Virat Kohli) সঙ্গে! ভারতীয় ক্রিকেটের মহাতারকা। ১ মে লখনউয়ের একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচে যে বিবাদ মাঠের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছিল। জড়িয়ে পড়েছিলেন লখনউয়ের মেন্টর গৌতম গম্ভীর। ওই ঘটনার পর থেকে গোটা টুর্নামেন্টে নবীন ও গম্ভীরকে দেখলেই গ্যালারি থেকে 'কোহলি, কোহলি' ধ্বনি উঠত।


ঠিক কী হয়েছিল কোহলির সঙ্গে?


আইপিএল শেষ হয়ে যাওয়ার পর এ নিয়ে মুখ খুললেন আফগানিস্তানের ক্রিকেটার নবীন উল হক। বিবিসি পাস্তোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নবীন জানিয়েছেন, কোহলি জোর করে তাঁর হাত ধরে রেখেছিলেন। নবীন বলেছেন, 'ম্যাচের সময় বা ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ও যা বলেছিল তা ঠিক করেনি। আমি লড়াই শুরু করিনি। ম্যাচের শেষে করমর্দনের সময় ঝামেলা শুরু করেছিল কোহলিই।'


ম্যাচের পর লখনউয়ের মেন্টর গম্ভীরের সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন কোহলি। পরে তিনজনেরই মোটা অঙ্কের জরিমানা হয়। আইপিএলের আচরণবিধি ভাঙার জন্য। কোহলি ও গম্ভীরের ম্যাচ ফি পুরোটাই কাটা যায়। নবীনের ম্যাচ ফি-র ৫০ শতাংশ জরিমানা হয়েছিল।


আফগান তারকা বলেছেন, 'জরিমানার অঙ্ক দেখলেই বোঝা যাবে, কে ঝগড়া শুরু করেছিল।' ঘটনার বিশদ বিবরণও দিয়েছেন নবীন। বলেছেন, 'আমি শুধু একটা কথাই বলব, আমি কাউকে স্লেজিং করি না। আর যদি করেও থাকি সেটা শুধু ব্যাটারকে বল করার সময়। সেই ম্যাচে যদিও আমি একটাও শব্দ উচ্চারণ করিনি। কাউকে স্লেজিং করিনি।' যোগ করেছেন, 'যারা সেই সময় ছিল তারা সকলেই জানে আমি কীভাবে পরিস্থিতি সামলেছিলাম। একবারও মেজাজ হারাইনি। ব্যাটিং করার সময় বা ম্যাচের পরেও। ম্যাচের পর আমি কী করেছিলাম সেটাও সবাই দেখেছেন। আমি করমর্দন করছিলাম আর ও আমার হাত জোর করে ধরে রেখেছিল। আমিও মানুষ। তখন আমিও প্রতিক্রিয়া দিই।'


এর আগে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি ও মহম্মদ আমিরের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়েছিলেন নবীন। আফগান ক্রিকেটার বলেছেন, 'কেউ আমাকে কিছু বললে আমি পিছিয়ে আসার ছেলে নই। ২০১০ সালে আফগানিস্তানের অনূর্ধ্ব ১৬ দলে খেলার সময় থেকেই আমি এরকম। আমি কাউকে কুকথা বলি না। কিন্তু আমাকে কেউ আক্রমণ করলে পাল্টা কথা শোনাতে ছাড়ি না।'



আরও পড়ুন: Pritam Kotal Exclusive: পাখির চোখ এশিয়ান কাপ, প্র্যাক্টিসেও গোল না খাওয়ার পণ নিয়ে নামেন প্রীতম