কলকাতা: আমাদের প্রতিদিনের জীবনের সঙ্গে লেগে থাকে আনন্দ-দুঃখ, সুখ অসুখ, হার-জিত। প্রতিনিয়ত দৌড়ঝাঁপময় এই জীবন শুধু শরীরকে ক্লান্ত করে না। ক্লান্ত করে মনকেও। তাই যত বয়স বাড়ে অধিকাংশ মানুষই সহজভাবে জীবন কাটানোর উপায় খুঁজতে থাকেন। আপনিও কি পড়েন এই তালিকায়? তাই চেষ্টা করে দেখতে পারেন এই পন্থাগুলি।


এই সহজ উপায়ে সুন্দর করে তুলুন জীবন


জীবনকে সহজ সরল রাখার জন্য় পরিকল্পনা করে এগোনো একান্ত ভাবে প্রয়োজনীয়। কাজের ক্ষেত্রে হোক বা পরিবারের। সঠিক পরিকল্পনা করে এগোলে অনেক সমস্য়া সমাধান সম্ভব হয়। পাশাপাশি, ভাবতে হবে অর্থসঞ্চয়ের ব্যাপারে। আয় করতে শুরু করলেই সঞ্চয়ের দিকে নজর দিন। জীবনের অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে অর্থই কাজে আসবে।


আরও পড়ুন...


Benefits of beans: হৃদযন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী বিনসজাতীয় খাবার, আরও কী কী গুণ শুঁটিজাতীয় শস্য়ের?


শুধু তাই নয়, নিজের মধ্য়ে আত্মবিশ্বাস তৈরি করুন। নিজের যোগ্য়তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অন্য়রা আপনাকে নিয়ে কী ভাবছে, সেই চিন্তা থেকে মুক্ত হন। নয়তো নিজের মানসিক সুখ শান্তির প্রতি অবিচার করা হবে। তাই নিজের মাথা ও মনকে সবার আগে গুরুত্ব দিন।


কোনও বিষয়ে খুব বেশিদিন মন খারাপ করবেন না। একান্তই সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। কারণ বেশিদিন মনখারাপ ডিপ্রেশনের লক্ষণ। শরীরের সঙ্গে মনের সংযোগ কখনও অস্বীকার করা যায় না। তাই শরীরকে রাখুন সুস্থ ও সতেজ। কারণ শরীর ভাল থাকলে অনেকাংশেই মন ভাল থাকে। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন একটু হলেও ওয়ার্কআউট করতে।


আরও পড়ুন...


Fathers Day 2023: কিছু উপহারের আইডিয়া 'পিতৃ দিবস'-এ বাবাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য


পাশাপাশি, কাজের চাপ সামলে চেষ্টা করতে হবে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সময় কাটানোর। এই সুন্দর সময় আপনাকে উপহার দিতে পারে একরাশ ভাললাগা।নেতিবাচক চিন্তা দূরে রাখার চেষ্টা করুন। অনেকসময় এই চিন্তাই ব্য়র্থতার কারণ হয়ে ওঠে।  জীবনে আশাবাদী ও ইতিবাচক থাকার মধ্য়েই লুকিয়ে আছে সুখী হওয়ার চাবিকাঠি।


খুব বেশিক্ষণ নয়, সারাদিনে অন্তন ৫ মিনিট ধ্যান করার চেষ্টা। সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন নিজের শ্বাসপ্রশ্বাসের উপর। এই অভ্য়াস আপনার মনসংযোগ বাড়াবে। এর পাশাপাশি, আপনি অবসর সময় কাটান নিজের পছন্দের কাজ করে।  মনোবিদরা বলছেন, এই অভ্যাস মনকে ভাল রাখতে একান্তভাবে উপকারী।


অফিসের কোনও সহকর্মীর কাজের মন থেকে প্রশংসা করুন। দেখবেন অফিসের পরিবেশটাই আপনার কাছে ক্রমেই ভালো লাগার জায়গা হয়ে উঠবে।