মুম্বই: বয়স ২৯। এই বয়সে পেশাদার ক্রিকেট খেলা শুরু করার কথা অনেকেই হয়ত ভাবতে পারেন না। কিন্তু তিনি ভেবেছিলেন। আর তাই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও, নিশ্চিত চাকরির হাতছানি থাকা সত্ত্বেও অনিশ্চিয়তার ক্রিকেটকেই বেছে নিয়েছিলেন। গতকালের লখনউ-মুম্বই ম্যাচের পর এই তরুণকে নিয়েই যাবতীয় চর্চা। অনিল কুম্বলে, যশপ্রীত বুমরার পর তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে আইপিএলে এক ম্যাচে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। কিন্তু আজ থেকে চার বছর আগেও গলি ক্রিকেটে টেনিস বলে খেলতেন আকাশ। সেখান থেকেই এবার প্রথম আইপিএলেই উজ্জ্বল মুম্বইয়ের আকাশ।


উত্তরাখণ্ডের ছেলে আকাশ মাধওয়াল। এর আগে এই রাজ্য থেকে অন্য কোনও ক্রিকেটার আইপিএল খেলেননি। জোফ্রা আর্চার, যশপ্রীত বুমরার অনুপস্থিতিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে খেলার সুযোগ চলে আসে। গত বছর চোট পাওয়া সূর্যকুমার যাদবের বদলি হিসেবে নিলাম থেকে আকাশকে দলে নিয়েছিল রোহিতের দল। ২০১৯ সালে উত্তরাখণ্ডের কোচ ছিলেন ওয়াসিম জাফর। তাঁরই নজরে প্রথম আসেন আকাশ। এরপরই টেনিস বল থেকে লাল বলের ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয় আকাশের। ২০২০-২১ মরসুমে উত্তরাখণ্ডের কোচ সার্ভিসেসের হয়ে খেলা প্রাক্তন ক্রিকেটার মণীশ ঝায়ের তত্ত্বাবধানে নিজেকে ঘষে মেজে গড়ে তোলা শুরু করেন আকাশ। ২০২৩ ঘরোয়া মরসুমের আগে সাদা বলের ফর্ম্যাটে উত্তরাখণ্ডের অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয় এই তরুণ পেসারকে। 


 






উত্তরাখণ্ডের কোচ মণীশ ঝা বলেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে, ''ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আকাশ। খুব বেশি সময় ওর লাগেনি চামড়ার বল হাতে নিজেকে প্রস্তুত করে তুলতে। ওর বাবা নেই। পরিবারও আর্থিকভাবে খুব একটা ভাল নয়। আকাশকে যখনই যা বলা হয়, ও মন দিয়ে শোনে।''


গতকাল ম্যাচের পর রোহিত শর্মা বলেন, ''গত বছর আমাদের সাপোর্ট বোলার হিসেবে ও দলের সঙ্গে ছিল। কিন্তু যখন জোফ্রা আর্চারকে আমরা পাব না জানলাম, তখন আমার মনে হয়েছিল যে আকাশের মধ্যে যা স্কিল রয়েছে, তা সঠিকভাবে ব্যবহার করা যাবে। ওর দারুণ প্রতিভা রয়েছে। আরও উন্নতি করবে আকাশ। আমরা দেখেছি অনেক বছর ধরে যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে আইপিএলে ভাল পারফর্ম করে অনেকেই দেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পেয়েছে।''