কলকাতা: ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার (Impact Player)। এবারের আইপিএলে (IPL 2023) যাঁরা নজর রেখেছেন, তাঁরা জানেন এই সম্পর্কে। চলতি মরসুমেই প্রথম অন্তর্ভুক্তি এই ধরনের প্লেয়ার ক্যাটাগরির। যে কোনও দল একজন করে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার খেলার মাঝে নিজেদের প্রয়োজন বুঝে একাদশের বাইরে থেকে নিতে পারবে। তার বদলে একাদশের বাইরে চলে যাবে অন্য় কোনও প্লেয়ার। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে এ বারের আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মাঠে নেমে ইতিহাস গড়েন তুষার দেশপাণ্ডে। তিনিই আইপিএল ইতিহাসের প্রথম ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়। 


ইমপ্যাক্ট-এর প্রভাব


এই টুর্নামেন্টে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ব্যবহারের প্রভাবও সরাসরি চোখে পড়ছে। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়রা থাকায় দলের ব্যাটিং লাইন দীর্ঘায়িত হয়েছে, যার ফলে আরও নির্ভীকভাবে দলগুলি নিজেদের খেলাটা খেলতে পারছে। বেশ কিছু বোলাররাও ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসাবে মাঠে নেমে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন। সিংহভাগ দলই ভারতীয় ক্রিকেটারদের ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসাবে ব্যবহার করছে, ফলে আরও বেশি করে ভারতীয়রাও সুযোগ পাচ্ছেন। সুয়াশ শর্মা, ধ্রুব জুরেলের মতো বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার তো ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসাবে মাঠে নেমেই আইপিএলের মঞ্চ মাতিয়েছেন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসাবে কোন তারকারা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন।


নজর কাড়লেন যারা


ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসাবে মেঠে নেমেই সুয়াশ শর্মার (Suyash Sharma) চোখধাঁধানো পারফরম্যান্স সকলের নজর কেড়ে নিয়েছেন। আইপিএলের আগে প্রথম শ্রেণির ম্যাচও খেলেননি সুয়াশ। তবে কেকেআরের হয়ে সুযোগ পেয়েই বল হাতে জ্বলে উঠেন সুয়াশ। আরসিবির বিরুদ্ধে তিন উইকেট নিয়ে শোরগোল ফেলে দেন সুয়াশ। আপাতত আইপিএলের সাত ম্যাচে নয় উইকেট নিয়েছেন সুয়াশ।


সুয়াশের মতো একেবারে আনকোরা না হলেও, অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী ধ্রুব জুরেলও (Dhruv Jurel) কিন্তু প্রথমে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসাবেই আইপিএলে সুযোগ পান। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচে ১৫ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংসে জুরেল নিজের দক্ষতা প্রমাণ করে দেন। বর্তমানে তিনি রাজস্থান দলের নিয়মিত সদস্য।


এই তালিকায় কেকেআরের দলের আরেক ক্রিকেটারও রয়েছেন। তিনি আর কেউ নন বেঙ্কটেশ আইয়ার (Venkatesh Iyer)। তিনি এ মরসুমেই মাত্র দ্বিতীয় নাইট ব্যাটার হিসাবে শতরান হাঁকান। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসাবেই কিন্তু তিনি গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে তাঁর ৪০ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।


আয়ূষ বাদোনিও এ মরসুমের সিংহভাগ ম্যাচ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসাবেই খেলেছেন। ইনিংসের শেষের দিকে লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে একাধিক ধুঁয়াধার ইনিংসে ম্যাচে সরাসরি প্রভাব ফেলেছেন তিনি। তরুণ এই ব্যাটার ইতিমধ্যেই প্রায় ১৪৩ স্ট্রাইক রেট নিয়ে ১৯১ রান করে ফেলেছেন।


গুজরাতের হয়ে প্রভাবিত করা নূর আমেদও রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে নিজের আইপিএল অভিষেক ঘটান। অই ম্যাচ ভাল পারফর্ম করেই গুজরাতের একাদশে জায়গা করে ফেলেছেন তিনি। আপাতত পাঁচ ম্যাচে আট উইকেট রয়েছে তাঁর দখলে। তিনিও কিন্তু প্রথমে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসাবেই সুযোগ পান।


ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম না থাকলে হয়তো এই তরুণ প্রতিভাবানরা নিজেদের প্রতিভা দেখানোর তেমন সুযোগই পেতেন না। আপনাদের কী মনে হয় ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম কি ক্রিকেটের উন্নতিতে সাহায্য করছে? জানান কমেন্ট বক্সে। 


আরও পড়ুন: কোভিড আর 'বিপদ' নয়? বড়সড় ঘোষণা WHO-এর