বেঙ্গালুরু: অবশেষে চার ম্য়াচে টানা হারের পর আইপিএলে নিজেদের তৃতীয় জয় ছিনিয়ে নিল কেকেআর। আরসিবির বিরুদ্ধে এদিন ২১ রান জয় ছিনিয়ে নেয় নীতিশ রানার দল। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও বল হাতে ২ উইকেট নিলেন রাসেল। কেকেআরের হয়ে সর্বােচ্চ ৩ উইকেট তুলে নিলেন বরুণ চক্রবর্তী। অন্যদিকে ২টো উইকেট নিলেন সুয়াশ শর্মা। অর্ধশতরান হাঁকালেও দলকে জেতাতে পারলেন না বিরাট কোহলি। ২০১ রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানই বোর্ডে তুলতে পারল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। 


বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমেছিল আরসিবি। চাপ ছিল। তবে শুরু থেকেই ডু প্লেসি ও বিরাটের ব্য়াটিং ফর্ম কিছুটা ভরসার জায়গা ছিল আরসিবির কাছে। ১টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে ৭ বলে ১৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নামা ডু প্লেসি। বিরাট ছিলেন চেনা মেজাজে। কিন্তু উল্টোদিকে শাহবাজ ও ম্যাক্সওয়েল দ্রুত ফিরে যান। তবে বিরাটকে কিছুটা সঙ্গ দেন মাহিপল লোমহর। ১ট বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ১৮ বলে ৩৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ১৮ বলে ২২ রান করেন দীনেশ কার্তিক। বিরাট অর্ধশতরান করলেও ৩৭ বলে ৫৪ রান করে আউট হন। 


 এদিন টস জিতে ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামীতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। ওপেনে নেমেছিলেন জেসন রয় ও নায়ারণ জগদীশান। শুরু থেকেই মারমুখি মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন ইংল্যান্ড তারকা। ষষ্ঠ ওভারে শাহবাজ আহমেদকে চারটে ছক্কা হাঁকান তিনি। মাত্র ২২ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন রয়। এরপর যদিও বেশিক্ষণ ক্রিজে সেট থাকতে পারেননি ডানহাতি এই ব্য়াটার। ২৯ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়ন ফেরেন তিনি। জগদীশান ২৭ রান করেন। বেঙ্কটেশ আইয়ার ২৬ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন। তবে অধিনায়ক নীতিশ রানা দ্রুত রান তোলেন। ২১ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়ন ফেরেন তিনি। নিজের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান রানা। আন্দ্রে রাসেল যদিও এদিনও ব্যর্থ হন। তিনি মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে যান। 


লোয়ার অর্ডারে ডেভিড উইজ ও রিঙ্কু সিংহ মিলে দলের স্কোর দুশোর গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলতে সাহায্য করেন। রিঙ্কু চলতি আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। তিনি এদিনও ১০ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে উইজ ৩ বলে ২টো ছক্কা হাঁকিয়ে ১২ রানের ইনিংস খেলেন।