কলকাতা: আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell) মানেই মাসেল পাওয়ার, রাসেল মানেই অবিশ্বাস্য কিছু, কেকেআরের (KKR) ভরসা। সেই রাসেলই আজ ৩৫-এ পা দিলেন। প্রায় এক দশক ধরে কেকেআরের জার্সিতে আইপিএলের মঞ্চ মাতাচ্ছেন রাসেল। নাইট সমর্থকদের নয়নের মণি তিনি। রাসেল নিজেও কিন্তু কেকেআরকে মনেপ্রাণে ভালবাসেন। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি কেকেআরের প্রতি তাঁর ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশও করেছেন।


কৃতজ্ঞ রাসেল


রাসেল সাম্প্রতিক সময়ে বারংবার চোট আঘাতে ভুগেছেন। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের সময়ে রাসেল হাঁটুর চোটের কারণে অনেকগুলি ম্যাচ খেলতে পারেননি। সেই সময় তাঁর হাঁটুর সমস্যা সারিয়ে তোলার জন্য কেকেআর যা করেছে তার জন্য চিরকৃতজ্ঞ ক্যারিবিয়ান তারকা। তিনি নাইট ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'আমি কিছু বছর আগেও হাঁটু নিয়ে বিরাট সমস্যায় ছিলাম। তখন কেকেআরই আমার দেখভালের দায়িত্ব নেয়। যাতে আমি হাঁটুর চোট সারিয়ে উঠতে পারি, তার জন্য যা যা করণীয়, সব করে। অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি, এমনকী আমার দেশও আমার জন্য কোনদিন এতটা ভাবেনি।'


আরও পড়ুন: গুণের 'খনি', কিন্তু কখন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর কমলা লেবু ?


এরপরেই রাসেল স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি আইপিএলে কেকেআর বাদে আর অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলতে চান না। 'আমি এখানে খুবই খুশি। বিগত নয় বছর ধরে এই দলের হয়ে খেলছি। সত্যি বলতে এই টুর্নামেন্টে কেকেআর বাদে আমি আর অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সিতে নিজেকে কল্পনাও করতে পারি না। ক্রিকেট না থাকলেও সবসময় ভেঙ্কি মাইসোরের (কেকেআরের সিইও) সঙ্গে যোগাযোগে থাকি, কথাবার্তা বলি। ওঁকে আমি ভীষণ শ্রদ্ধা করি।'


কেকেআরের পরীক্ষা


প্রতিপক্ষ দলে হার্দিক পাণ্ড্য, ডেভিড মিলার, রাহুল তেওয়াটিয়ার মতো বিগহিটার। তবে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। ইডেনে শনিবার যে পিচে তারা গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে খেলছে, সেই বাইশ গজেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সঙ্গে খেলেছিল। যে ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে উঠেছিল ৪৩৩ রান। সেঞ্চুরি করেছিলেন হায়দরাবাদের হ্যারি ব্রুক।


শুক্রবার ম্যাচের আগের দিন ইডেনে (Eden Gardens) প্র্যাক্টিস করল দুই দলই। তবে কেকেআরের ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে খেলেছিল যে দল, সেই একাদশের দুজন মাত্র ক্রিকেটার প্র্যাক্টিস করতে এসেছিলেন। ডেভিড উইজা ও এন জগদিশান। নীতীশ রানা, রিঙ্কু সিংহ বা বেঙ্কটেশ আইয়াররা কেউ মাঠমুখো হননি। তবে গুজরাত পুরো দল নিয়েই এসেছিল। দুই দফায় ইডেনে আসেন গুজরাত ক্রিকেটারেরা। প্রথম দফায় ঋদ্ধিমান সাহা, ডেভিড মিলার, শিবম মাভিরা মাঠে আসেন। তাঁরা মাঠে বেশ কিছুক্ষণ প্র্যাক্টিস করে ফেলার পর আরেকটি বাসে করে মাঠে আসেন রশিদ খান, হার্দিক পাণ্ড্যরা। প্র্যাক্টিসের ফাঁকে বেশ কিছুক্ষণ পিচও দেখেন হার্দিক ও গুজরাত টাইটান্সের কোচ গ্যারি কার্স্টেন।


আরও পড়ুন: স্বপ্নের ফর্মে জেসন রয়, ওপেনিংয়ে কেকেআরের ভরসা ইংরেজ তারকাই