লখনউ: মোহালিতে ১৯ বলে ৩৫ রান করেও দলকে জেতাতে পারেননি আন্দ্রে রাসেল। লখনউয়ে আর এক ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার ঝড় তুললেন। ৩৮ বলে ৭৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন কাইল মেয়ার্স (Kyle Mayers)। তাঁর ব্যাটের দাপটে ছারখার হয়ে গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) বোলিং। ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG) তুলল ১৯৩/৬।


মেয়ার্স শুরুটা করেছিলেন কিছুটা ঢিমেতালে। অধিনায়ক কে এল রাহুলের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নেমেছিলেন তিনি। প্রথম ১৬ বলে ১৫ রান করেছিলেন মেয়ার্স। কিন্তু ক্রিজে থিতু হয়ে যাওয়ার পর বিধ্বংসী মূর্তি ধারণ করেন। পরের ২২ বলে ৫৮ রান করেন ক্যারিবিয়ান তারকা। 


ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডারকে দিয়ে ইনিংস ওপেন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কে এল রাহুল, মেন্টর গৌতম গম্ভীররা। প্রতিপক্ষ দিল্লি ক্যাপিটালস শিবিরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রিকি পন্টিংয়ের মতো দুঁদে ক্রিকেট মস্তিষ্করা বসে রয়েছেন। পাল্টা কৌশলে বাজিমাত করতে চেয়েছিলেন গম্ভীর-রাহুলরা। সফলও হলেন।


টস জিতে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। দিল্লির বোলাররা শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্তভাবে। বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা অপেক্ষা করেছিলেন, মুকেশ কুমার বা অভিষেক পোড়েলকে খেলানো হয় কি না দেখার জন্য। মুকেশকে সুযোগ দেয় দিল্লি। আইপিএলে অভিষেক হল বাংলার পেসারের। অভিষেক অবশ্য প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি। পরিবর্ত খেলোয়াড়ের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে।


খলিল আমেদ প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান দেন। মুকেশ তাঁর প্রথম ও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে ৫ রান দেন। তাও দুটি মিস ফিল্ডিং হয় তাঁর ওভারে। চতুর্থ ওভারে কে এল রাহুলকে তুলে নেন চেতন সাকারিয়া। পাওয়ার প্লে-তে লখনউয়ের স্কোর ছিল ৩০/১। চেতন সাকারিয়ার বলে ব্যক্তিগত ১৪ রানের মাথায় মেয়ার্সের ক্যাচ ফেলে দেন খলিল আমেদ। সেই ক্যাচ নষ্ট যে কী ভয়ানক ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে, খলিল হয়তো তখন তা বোঝেননি।


 




বুঝলেন, যখন পরের ১৪ ওভারে ১৬৩ রান তুলল লখনউ। মুকেশ ৪ ওভারে ৩৪ রান খরচ করে কোনও উইকেট পাননি। দুটি করে উইকেট সাকারিয়া ও খলিলের। শেষ দিকে চালিয়ে খেলে নিকোলাস পুরান ২১ বলে ৩৬ রান করেন। এবার অগ্নিপরীক্ষা দিল্লির ব্যাটারদের।