লখনউ: মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) লখনউ সুপার জায়ান্টসের (Lucknow Super Giants) বিরুদ্ধে ১৭৮ রান তাড়া করতে শুরুটা দুর্দান্তভাবে করেছিল। পল্টনদের হয়ে দুই তারকা ওপেনার ঈশান কিষাণ ও রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ওপেনিংয়ে ৯০ রান যোগ করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মহসিন খানের (Mohsin Khan) স্বপ্নের ওভারের দৌলতে খালি হাতেই লখনউ ছাড়তে হচ্ছে রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের।
শুরু থেকেই আক্রমণ
লখনউয়ের মাঠে এ মরসুমে রান তাড়া করা একেবারেই সহজ হয়নি। অন্যান্য সিংহভাগ মাঠে যেখানে রানের ফুলঝুড়ি দেখা গিয়েছে, সেখানে লখনউয়ে ১৫০-১৬০ রান তুলতে গিয়েও বারবার সকলকে নাকানিচোবানি খেতে দেখা গিয়েছে। সেখানে মুম্বইয়ের সামনে ১৭৮ রানের লক্ষ্য একেবারেই সহজ ছিল না। নতুন বলে তাই প্রথম থেকেই আগ্রাসী ছন্দে ব্যাটিং শুরু করেন ঈষান। লক্ষ্য ছিল বল পুরনো হওয়ার আগে পাওয়ার প্লের সুবিধা নিয়ে বোর্ডে বেশ খানিকটা রান তুলে রাখা। শুরুটা ঈশাণ করলেও পরে রোহিতও তাঁকে সঙ্গ দেন। পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটেই ৫৮ রান তুলে ফেলে মুম্বই।
যখন মনে হচ্ছিল ঈশান ও রোহিত ম্যাচটা একপেশে করে দেবেন, ঠিক তখনই লখনউয়ের ত্রাতা হয়ে উঠেন রবি বিষ্ণোই। ৩৭ রানে তিনি রোহিত শর্মাকে সাজঘরে ফেরান। রোহিতের পর আরেক ওপেনার ঈশানকেও ৫৯ রানে ফেরান বিষ্ণোই। গত ম্যাচে শতরান হাঁকানো সূর্যকুমারের ব্যাটও এদিন চলেনি। তিনি সাত রানে আউট হন। যশ ঠাকুর ও রবি বিষ্ণোইয়ের সুবাদে মাঝের ওভারগুলিতে দুরন্তভাবে ম্যাচে ফিরে আসে লখনউ। নেহাল ওয়াদেরা তাঁর গোটা ১৬ রানের ইনিংসেই ব্যাটে বলে ঠিকঠাক সংযোগ ঘটাতে চাপে পড়েন। বিষ্ণু বিনোদ ফেরেন দুই রান করে।
মহসিনের স্বপ্নের ওভার
তবে এর আগেও আইপিএলে মুম্বইয়ের ত্রাতা হয়ে উঠে দলের জন্য পারফেক্ট ফিনিশারের ভূমিকা পালন করতে দেখা গিয়েছিল টিম ডেভিডকে। পল্টনদের হয়ে অজি তারকা ফের ত্রাতা হয়ে উঠার চেষ্টা করেন বটে। ১৯ বলে দুরন্ত ৩২ রানের ইনিংসও খেলেন তিনি। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর মুম্বইকে হারায় লখনউ। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যামেরন গ্রিন ব্যাটে বলে ঠিকঠাক সংযোগই ঘটাতে পারেননি ছয় বলে মাত্র চার করেন তিনি। তবে মহসিন খানকেও বাহবা দিতেই। শেষ ওভারে মাত্র পাঁচ রান খরচ করে ৫ রানে লখনউকে জয় এনে দেন মহসিন খান। একের পর এক নিঁখুত ইয়র্কারে দলকে এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জেতালেন বাঁ-হাতি এই বোলার।