আমদাবাদ: বছর খানেক আগেও তিনি কোনও আইপিএল দলের সদস্য ছিলেন না। একদা আইপিএলের পার্পল ক্যাপজয়ী তারকা বোলার গুজরাত টাইটান্সের নেট বোলারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু এ মরসুমে সুযোগ পেয়েই বল হাতে নিজের দক্ষতা বুঝিয়ে দিয়েছেন মোহিত শর্মা। ৩৪ বছর বয়সি গুজরাতের তারকা বল হাতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে পাঁচটি উইকেট নেন। তবে ভাগ্যের জোরেই নাকি তিনি পাঁচ উইকেট পেয়েছেন, দাবি মোহিতের।


ম্যাচ শেষে নিজের পারফরম্যান্স ও পরিকল্পনার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মোহিত বলেন, 'সত্যি বলতে আমি ভাগ্যের জোরেই পাঁচ উইকেট পেয়েছি। ওদের ব্যাটিংয়ের সময় বল ভালভাবেই ব্যাটে আসছিল। সূর্যকুমার যাদব এবং তিলক (ভার্মা) যখন ব্যাট করছিল তখন মনে হচ্ছিল ওরা ম্যাচে জিতেও যেতে পারে। স্কাইয়ের ব্যাটিংয়ের সময় বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার একেবারেই চেষ্টা করিনি। ভাল লেংথ বলে যদি ও আমাদের ছক্কা মারত, তাহলে সমস্যা ছিল না, কারণ লেংথ বলে ছক্কা মারাটা বেশ কঠিন। স্কাই ক্রিজে থাকাকালীন মুম্বইয়ের জয়ের সম্ভাবনা ছিলই। ও আউট হওয়ার পরেই আমাদের স্বস্তি ফেরে।'


মোহিত শর্মা এদিন গুজরাতের হয়ে সবার শেষে বল করতে আসেন। গোটা ম্যাচে মাত্র ১৪টি বল করেন তিনি। তাতেই ১০ রান খরচ করে পাঁচটি উইকেট নেন এই অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার। এই পাঁচ উইকেটের সুবাদে তিনি পার্পল ক্যাপ তালিকাতেও তিন নম্বরে উঠে এসেছেন। ১৩ ম্যাচে ১৩.৫৪ গড় ও ৭.৮৯ ইকোনমিতে মোট ২৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ফাইনালে নিজের প্রাক্তন দল চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধেও কিন্তু তাঁর পারফরম্যান্সের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করবে। 


শুভমনের প্রশংসায় রোহিত


মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধেই নিজের আইপিএল কেরিয়ারের তৃতীয় শতরান হাঁকিয়ে ফেলেছেন শুভমন গিল। তিনি বর্তমানে এক মরসুমে আইপিএলের সর্বকালের চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের মালিক। আইপিএলের আর এক ম্যাচ বাকি রয়েছে। তারপরেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। সেখানে কিন্তু আবার শুভমন রোহিতের প্রতিপক্ষ নন, বরং তাঁর ওপেনিং পার্টনার। সেই কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত এই ম্যাচে পরাজিত হলেও, শুভমনের পারফরম্যান্সে খুশি রোহিত। 'আমাদের গত ম্যাচের পারফরম্যান্সটা দারুণ ছিল। তবে আমরা একা নয়, এখানে সব দলের বোলাররাই মুশকিলে পড়েছে। এখানে শুভমনের বাহবা প্রাপ্য। আশা করছি ও নিজের এই ফর্মটা ধরে রাখতে পারবে।' বলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তথা ভারতীয় অধিনায়ক।


আরও পড়ুন: রোজ একই সময়ে মাথায় ব্যথা হয় ? কোন গুরুতর রোগের ইঙ্গিত ?