কলকাতা : মাথায় ব্যথা হলে স্বাভাবিকভাবেই খুব বিরক্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর জেরে মেজাজ নষ্ট হয়ে যায়। মাথাব্যথা ঝামেলায় ফেলতে পারে। কিছু কিছু মাথাব্যথার ক্ষেত্রে বিশ্রাম নিলে সম্পূর্ণ সেরে যায়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে মাথায় ব্যথা সত্যিই খুব গুরুতর হয়ে ওঠে। এর অনেক কারণ থাকতে পারে। 'অনলি মাই হেলথ' ইংলিশ পোর্টালে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মাথাব্যথার কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলি মাথায় বা মুখে স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে, যাকে সাধারণত নিস্তেজ-ব্যথা বলা যেতে পারে। 


মাথাব্যথা নানাভাবে হতে পারে। এটিকে হালকাভাবে নেওয়া সবসময়ই ভুল। মাথার ব্যথা কোথায়, কোন সময়ে হচ্ছে- সব সময় গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত। চিকিৎসকের মতে, অবস্থানের উপর নির্ভর করে মাথাব্যথা অনেক ধরনের হতে পারে। টেনশনের মাথাব্যথা সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হয়, যা মাথার চারপাশে হয়। 


আবার মাইগ্রেনে প্রচণ্ড মাথায় ব্যথা হয় এবং এই ব্যথা মাথার একপাশে বেশি হয়। মাইগ্রেনের ব্যথার পাশাপাশি এই সমস্যাগুলোও রয়েছে, যেমন- বমি বমি ভাব, বমি, আলোর সমস্যা, চোখে সমস্যা ইত্যাদি। যখন মাথায় ব্যথা একই জায়গায় এবং প্রতিদিন একই সময়ে হয়, তখন সেটি ভিন্ন প্রকারের মাথাব্যথার সংকেত দেয়। এটি দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথার কথা বলে। IHS-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা সমগ্র জনসংখ্যার ১ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে ঘটে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক ৩ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষ এবং বিশ্বব্যাপী ১০ কোটি মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে এর প্রাদুর্ভাবের হার বেশি।


চিকিৎসকের মতে, দীর্ঘস্থায়ী দৈনিক মাথাব্যথার বেশ কয়েকটি প্রকারভেদ রয়েছে-



  • ক্লাস্টার মাথাব্যথা- চোখ বা নাকের চারপাশে তীব্র, হুল ফোটানো ব্যথা হয়। ডাক্তারের মতে, এটি খুব বেদনাদায়ক। এই ব্যথায় চোখ থেকে জল পড়তে থাকে এবং চোখ লাল হয়ে যায়।

  • হেমিক্রেনিয়া কন্টিনুয়া, একটি বিরল প্রকারের মাথাব্যথা, যা মাথার একপাশে মাঝারি থেকে গুরুতর ব্যথা সৃষ্টি করে।

  • প্যারোক্সিসমাল হেমিক্রেনিয়াস, মাথার একপাশে তীব্র, ছুরিকাঘাতের মতো ব্যথা।

  • অনেক সময়েই অতিরিক্ত পরিশ্রম বা স্ট্রেসের কারণে মাথায় তীব্র যন্ত্রণা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সুযোগ থাকলে একটু বিশ্রাম নেওয়ার, ঘুমিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। উপকার পাবেন।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।