চেন্নাই: বয়স ৪০ পেরিয়েছে, তাঁর অবসর নিয়েও চলছে জল্পনা, অনেকে মনে করছেন এটাই তাঁর শেষ আইপিএল (IPL 2023) মরসুম। তবে এরই মাঝে একের পর এক রেকর্ড গড়েই চলেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচেও জোড়া রেকর্ড গড়লেন সিএসকে অধিনায়ক। ম্যাচে তাঁর কিপিং দেখলে কে বলবে, এই মানুষটা বর্তমানে আইপিএল বাদে আর কোনও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটই খেলেন না।


ধোনির যুগ্মরেকর্ড


সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচে অতীতের স্মৃতি উস্কে দিয়ে ফের একবার দস্তানাহাতে ক্ষিপ্র ধোনির সাক্ষী থাকল গোটা ক্রিকেটবিশ্ব। সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে ধোনি একটি ক্যাচ ধরেন, একটি রান আউট করেন এবং একটি স্টাম্পিংও করেন। এর ফলেই প্রথম কিপার হিসাবে আইপিএলে দু'শোটি উইকেট নেওয়ার (ক্যাচ, স্টাম্প, রান আউট মিলিয়ে) কৃতিত্ব নিজের নামে করেন ধোনি। এই বিষয়ে ধোনির ধারেকাছেও কেউ নেই। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন দীনেশ কার্তিক যিনি ১৮৭ সাফল্য পেয়েছেন। তৃতীয় স্থানে এবি ডিভিলিয়ার্স, তাঁর দখলে ১৪০টি সাফল্য রয়েছে।


তবে শুধু প্রথম কিপার হিসাবে দুইশোটি আইপিএল সাফল্য পাওয়াই নয়, এই ম্যাচে এইডেন মারক্রামের ক্যাচ ধরে আরও একটি অনন্য রেকর্ড নিজের নামে করেন মাহি। কুইন্টন ডিককে পিছনে ফেলে তিনিই বর্তমানে টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক ক্যাচ ধরা কিপার হয়ে গেলেন। ডিকক এখনও পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ২০৭টি ক্যাচ ধরেছেন। তাঁকে পিছনে ফেলে ধোনি ২০৮টি ক্যাচ ধরে ফেললেন। ধোনির এই জোড়া রেকর্ড গড়ার দিনে সিএসকেও দুরন্ত জয় পেল।


সিএসকের জয়


জয়ের জন্য ১৩৫ রানের লক্ষ্য খুব একটা বড় ছিল না, সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারাতে চেন্নাই সুপার কিংসকে (CSK vs SRH) খুব একটা কষ্ট করতেও হল  না। ৮৭ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপে ভর করে সহজেই সাত উইকেটে জয় পেল সিএসকে। ৫৭ বলে ৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ডেভন কনওয়ে (Devon Conway)। এর ফলে চিপকে সানরাইজার্সের দুঃস্বপ্নের রেকর্ড অব্যাহত রইল। হলুদ ব্রিগেডের বিরুদ্ধে চার ম্যাচ খেলে চারটিতেই পরাজিত হল সানরাইজার্স।  


অল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিএসকে ওপেনাররা শুরুটা দুরন্ত ছন্দে করেন। পাওয়ার প্লেতে রুতুরাজ গায়কোয়াড় খানিকটা ধরে খেললেও ডেভন কনওয়ে হু হু করে রান তুলতে শুরু করেন। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারেই বিনা উইকেটে ৬০ রান তুলে ফেলে সিএসকে। জয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়া হলুদ ব্রিগেডকে প্রথম ধাক্কাটা দেন উমরন মালিক। কনওয়ের মারা স্ট্রেট ড্রাইভ উমরনের হাতে লেগে নন-স্ট্রাইকারের দিকের উইকেট ভেঙে দেয়। ক্রিজের বাইরে থাকায় রুতুরাজকে সাজঘরে ফিরতেই হয়। ৩৫ রানে আউট হন তিনি।


রুতুরাজ আউট হওয়ার পর ব্যাটে নামা অজিঙ্ক রাহানেও কিন্তু ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। ব্যর্থ হন আম্বাতি রায়াডুও। তিনিও ৯ রানেই সাজঘরে ফেরেন। তবে পরপর তিন উইকেট হারালেও, সিএসকের জয় নিয়ে কখনই তেমন কোনও সন্দেহ তৈরি হয়নি, কারণ কনওয়ে একপ্রান্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনিই শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন। দলের পরাজয়ের দিনেও অবশ্য ময়ঙ্ক মারকাণ্ডে নিজের বোলিংয়ে সকলকে প্রভাবিত করেন। সানরাইজার্স স্পিনার নিজের নির্ধারিত চার ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন।


আরও পড়ুন: দুশো রানের পূর্বাভাস ইডেনে, উড়বে কি ধোনির হেলিকপ্টার?