কলকাতা: আইপিএলে আজ কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে প্লে অফের রাস্তা আরও কিছুটা সহজ করে ফেলল রাজস্থান রয়্যালস। পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে উঠে এসেছে রাজস্থান। একই সঙ্গে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়েও অনেকটাই এগিয়ে গেলেন যশস্বী জয়সওয়াল (Yasaswi Jaiswal)। শীর্ষে যদিও এখনও রয়ে গিয়েছেন ফাফ ডু প্লেসি। তবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা জয়সওয়াল মাত্র এক রান পিছিয়ে রয়েছেন আরসিবি অধিনায়কের থেকে। 


অরেঞ্জ ক্য়াপের দৌড়ে শীর্ষে যশস্বী


১১ ম্যাচে ১১ ইনিংস খেলে ৫৭৬ রান ঝুলিতে পুরেছেন ডু প্লেসি। সর্বোচ্চ ৮৪ রান। চলতি টুর্নামেন্টে আরসিবি অধিনায়ক প্রথম থেকেই ব্যাটারদের তালিকায় সর্বাধিক রানের মালিক। অরেঞ্জ ক্য়াপের দৌড়েও সবার আগে রয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ৫৭.৬৪ গড়ে ব্যাটিং করেছেন ডু প্লেসি। ১৫৭.৮০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন। ৪৫টি বাউন্ডারি ও ৩২ ছক্কা হাঁকিয়েছেন। 


তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৯৮ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি বৃহস্পতিবার। আর তার পরেই ঝুলিতে পুরে নিয়েছেন ৫৭৫ রান। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১২৪ রান। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে শতরান হাঁকিয়েছিলেন যশস্বী। ১৬৭ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন ফাফ।


তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন গুজরাত টাইটান্সের শুভমন গিল। ১১ ম্যাচে ১১ ইনিংস খেলে ৪৬৯ রান ঝুলিতে পুরেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৯৪। ডেভন কনওয়ে ১২ ম্যাচ খেলে ৪৬৮ রান করেছেন। অপরাজিত ৯২ হল ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ চলতি মরসুমে গিলের। 


বিরাট কোহলি ১১ ম্যাচ খেলে ৪২০ রান ঝুলিতে পুরেছেন। তিনি তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন।


১৩ বলে অর্ধশতরান জয়ওয়ালের


১১ বলে তখন ৪৫ রানে ব্যাট করছেন যশস্বী জয়সওয়াল। পরের বলে ছক্কা মারলেই ধরে ফেলবেন যুবরাজ সিংহকে (Yuvraj Singh)। ১২ বলে হাফসেঞ্চুরি ছিল যুবরাজের। স্টুয়ার্ট ব্রডের ৬ বলে ৬ ছক্কার সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে। সেটাই ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি।


পরের বলে ছয় মারতে পারেননি যশস্বী। বাউন্ডারি মারেন। পরের বলে সিঙ্গল নিয়ে হাফসেঞ্চরি পূর্ণ করলেন। ১৩ বলে ৫০। আইপিএলে রেকর্ড। যশস্বী ভেঙে দিলেন কে এল রাহুল ও প্যাট কামিন্সের রেকর্ড। দুজনরই ১৪ বলে হাফসেঞ্চুরি ছিল আইপিএলে। বৃহস্পতিবার থেকে আইপিএলে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির মালিক হয়ে গেলেন যশস্বীই।


কেকেআর শুধু ৯ উইকেটে পরাস্তই হল না, তাদের প্লে অফ স্বপ্নও এত জোরে ধাক্কা খেল যে, কোমায় চলে যাওয়ার পরিস্থিতি। ৪১ বল বাকি থাকতে পরাজয় মানে এক লাফে নাইটদের রান রেট নেমে গেল -০.৩৫৭ তে। খাতায় কলমে প্লে অফের দরজা বন্ধ হয়ে যায়নি। কিন্তু এখান থেকে প্লে অফে যাওয়া মানে খালি পায়ে এভারে চড়ার মতো অলৌকিক।