মোহালি: আইপিএলে যে দলের বিরুদ্ধে বরাবরের ভাল রেকর্ড, সেই দলের বিরুদ্ধেই প্রথম ম্যাচে পিছলে যেতে হল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে নাইটদের কপাল পোড়াল বৃষ্টি। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে মাত্র ৭ রানে হার মানতে হল কেকেআরকে। পরাজয় দিয়েই শুরু হল ষোড়শ আইপিএলে কেকেআরের অভিযান।
লক্ষ্য ছিল বিরাট। প্রথমে ব্যাট করে পাঞ্জাব কিংস তুলেছিল ১৯১/৫। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মনদীপ সিংহকে হারিয়েছিল কেকেআর। তিন নম্বরে চমক দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। ইডেনে প্রস্তুতি ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করা অনুকূল রায়কে নামিয়ে দিয়েছিলেন তিন নম্বরে। কিন্তু ব্যর্থ ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেটার। ৫ বলে ৪ রান করে ফেরেন। রহমনুল্লাহ গুরবাজ ঝোড়ো শুরু করলেও ১৬ বলে ২২ রান করে ফেরেন।
তবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামা বেঙ্কটেশ আইয়ার (২৮ বলে ৩৪ রান) ও অধিনায়ক নীতীশ রানা (১৭ বলে ২৪ রান) ইনিংসের হাল ধরেন। তবে পরপর উইকেট হারিয়ে কেকেআর যখন প্রবল চাপে, তখন পাল্টা মারতে শুরু করেন আন্দ্রে রাসেল। ৩টি চার ও জোড়া ছক্কা। ১৯ বলে ৩৫ রান করে কেকেআরকে ম্যাচে ফেরান তিনি। তবে তাঁকে ফিরিয়ে নাইট শিবিরে জোরাল ধাক্কা দেল স্যাম কারান। শেষ দিকে নেমে সুনীল নারাইন ও শার্দুল ঠাকুর চালিয়ে খেলতে শুরু করেন।
একটি ৬ মেরে ৩ বলে ৮ রান করে ক্রিজে ছিলেন শার্দুল। একটি ছয় মেরে ২ বলে ৭ রান করে ক্রিজে ছিলেন নারাইন। ঠিক সেই সময়ই নামে বৃষ্টি। কেকেআর ইনিংস শুরুর আগে স্টেডিয়ামের সবকটি বাতিস্তম্ভ না জ্বলায় খেলা বন্ধ ছিল বেশ কিছুক্ষণ। ফের বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হয়। কেকেআরের স্কোর তখন ১৬ ওভারে ১৪৬/৭। ম্যাচ জিততে তখনও ২৪ বলে দরকার ছিল ৪৬ রান।
খেলা আর শুরু করা যায়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে দেখা যায়, বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় ১৫৩ রান করতে হতো কেকেআরকে। ৭ রান পিছিয়ে ছিল কেকেআর। তাই ৭ রানে বিজয়ী ঘোষণা করা হল পাঞ্জাবকে।