মুম্বই: আইপিএলে পার্পল ক্যাপের তালিকায় শীর্ষে চলে গেলেন মহম্মদ সিরাজ। ৮ ম্যাচে ৭.২৮ ইকনমি রেটে ১৪ উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে এদিন ম্যাচ খেলতে নেমেছিল আরসিবি। সেই ম্যাচেও ৪ ওভার বল করে ৩৩ রান খরচ করে ১ উইকেট নিয়েছিলেন সিরাজ। 


রশিদ খান মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নির্ধারিত চার ওভারে ২৭ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন। এই দুই উইকেটের সুবাদেই তিনি মহম্মদ সিরাজকে পিছনে ফেলে পার্পল ক্যাপ তালিকার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিলেন। আজ যদিও রশিদ খানকে টপকে শীর্ষে চলে গেলেন সিরাজ। এখনও পর্যন্ত এ মরসুমে গুজরাতের হয়ে রশিদ সাত ম্যাচে ১৪টি উইকেট নিয়েছেন। তিনি ১৬.১৪ গড় ও ৮.০৭-র ইকোনমিতে ১৪টি উইকেট নিয়েছেন। অপরদিকে, সিরাজ সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে রশিদের থেকে এক কম, ১৩টি উইকেট নিয়েছেন। তাঁর বোলিং গড় ১৫.৪৬।


সমসংখ্যক ম্যাচে সমসংখ্যক উইকেট নিলেও অর্শদীপের বোলিং গড় সিরাজের থেকে বেশি, ১৫.৬৯ হওয়ায় বাঁ-হাতি ভারতীয় বোলার তালিকায় তিনে রয়েছেন। একই কারণে যুজবেন্দ্র চাহাল ও তুষার দেশপাণ্ডে, উভয়েই সাত ম্যাচে ১২ উইকেট নিলেও, পার্পল ক্যাপ তালিকায় চার নম্বরে রয়েছেন যুজবেন্দ্র ও পাঁচে তুষার। চাহালের গড় যেখানে ১৮.৮৩, সেখানে দেশপাণ্ডের বোলিং গড় ২৩.১৬। সাত ম্যাচে ২১.২০ গড়ে ১০ উইকেট নেওয়া বরুণ চক্রবর্তীই একমাত্র কেকেআর বোলার যিনি পার্পল ক্যাপ তালিকায় প্রথম দশে রয়েছেন।


জয় কেকেআরের


অবশেষে চার ম্য়াচে টানা হারের পর আইপিএলে নিজেদের তৃতীয় জয় ছিনিয়ে নিল কেকেআর। আরসিবির বিরুদ্ধে এদিন ২১ রান জয় ছিনিয়ে নেয় নীতিশ রানার দল। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও বল হাতে ২ উইকেট নিলেন রাসেল। কেকেআরের হয়ে সর্বােচ্চ ৩ উইকেট তুলে নিলেন বরুণ চক্রবর্তী। অন্যদিকে ২টো উইকেট নিলেন সুয়াশ শর্মা। অর্ধশতরান হাঁকালেও দলকে জেতাতে পারলেন না বিরাট কোহলি। ২০১ রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানই বোর্ডে তুলতে পারল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। 


বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমেছিল আরসিবি। চাপ ছিল। তবে শুরু থেকেই ডু প্লেসি ও বিরাটের ব্য়াটিং ফর্ম কিছুটা ভরসার জায়গা ছিল আরসিবির কাছে। ১টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে ৭ বলে ১৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নামা ডু প্লেসি। বিরাট ছিলেন চেনা মেজাজে। কিন্তু উল্টোদিকে শাহবাজ ও ম্যাক্সওয়েল দ্রুত ফিরে যান। তবে বিরাটকে কিছুটা সঙ্গ দেন মাহিপল লোমহর। ১ট বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ১৮ বলে ৩৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ১৮ বলে ২২ রান করেন দীনেশ কার্তিক। বিরাট অর্ধশতরান করলেও ৩৭ বলে ৫৪ রান করে আউট হন।