কলকাতা: আইপিএলে রেকর্ড গড়ার দিনেই পার্পল ক্যাপ পাওয়ার দৌড়ে শীর্ষে চলে গেলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। মহম্মদ শামিকে টপকে এখন চাহালই তালিকায় সবার আগে। ঝুলিতে চলতি টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত ২১ উইকেট পুরে নিয়েছেন তারকা। এখনও পর্যন্ত ১২টি ম্যাচ খেলেছেন চাহাল। ৩৫৫ রান খরচ করে ২১ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন রাজস্থান রয়্যালসের স্পিনার। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা শামির ঝুলিতে রয়েছে ১৯ উইকেট। ১১ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রশিদ খান। তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন তুষার দেশপাণ্ডে। তিনি ১২ ম্যাচ খেলে ১৯ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। ১১ ম্যাচে ১৭ উইকেট ঝুলিতে পুরে তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন পীযূশ চাওলা।
বৃহস্পতিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে খেলতে নেমে রাজস্থান রয়্যালস জয় ছিনিয়ে নেয়। সেই ম্যাচেই বল হাতে ৪ ওভারে ২৫ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে নেন চাহাল। তিনি ফেরান ম্যাচে বেঙ্কটেশ আইয়ার, নীতিশ রানা, রিঙ্কু সিংহ ও শার্দুল ঠাকুরকে। এর সঙ্গে সঙ্গেই শামিকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষে চলে যান চাহাল।
তবে এই দিনেই আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও হয়ে গেলেন তারকা লেগস্পিনার। নীতীশকে ফেরানোর সঙ্গে সঙ্গে আইপিএলে ১৮৪ শিকার হয়ে গেল চাহালের। ভেঙে দিলেন ডোয়েন ব্র্যাভোর রেকর্ড। চাহালই এখন আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
নিঃশব্দ ঘাতক। যুজবেন্দ্র চাহালের (Yuzvendra Chahal) জন্য হয়তো এই তকমাটাই প্রযোজ্য। সুনীল নারাইনের (Sunil Narine) মতো তাঁকে নিয়ে আইপিএলে (IPL 2023) জয়োধ্বনি নেই। লাসিথ মালিঙ্গার মতো প্রচারের আলোয় থাকেন না। তবু বল হাতে কামাল করে চলেছেন যুজবেন্দ্র চাহাল। চলতি আইপিএলে তাঁর ১২ উইকেট হয়ে গেল। তিনিই এখন আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ডোয়েন ব্র্যাভোর আইপিএলে ১৮৩ উইকেট রয়েছে। একটা সময় তিনিই ছিলেন শীর্ষে ।চাহাল সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন।
বৃহস্পতিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে এক উইকেট নিলেই মাইলফলক স্পর্শ করার হাতছানি ছিল রাজস্থান রয়্যালসের স্পিনারের সামনে। সেই পরীক্ষায়য় উত্তীর্ণ হলেন চাহাল।
বদলে গিয়েছে ইডেন গার্ডেন্সের (Eden Gardens) উইকেট। যে মাঠে এক সময় স্পিনারদের বল ছোবল মারত, সেখানে এখন পেসারদের রমরমা। বল পড়ে সাঁ সাঁ যায়। গতির সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে বাউন্সের দোসরও।
একমাত্র ব্যতিক্রম চার নম্বর পিচ। যে বাইশ গজে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR vs PBKS)। যে উইকেটে অনেকটা পুরনো ইডেনের ছোঁয়া। যেখানে বল পড়ে কিছুটা থমকে আসছে। বল ঘুরছে। যে বাইশ গজে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন স্পিনাররা। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে বরুণ চক্রবর্তী বল হাতে নাকানিচোবানি খাইয়েছিলেন। নাইট শিবির থেকেও বলা হয়েছিল যে, পাঞ্জাবের ইনিংস ১৭৯ রানে আটকে দিতে পারাটাই জয়ের রাস্তা গড়ে দিয়েছিল।