হায়দরাবাদ: শিখর ধবনের (Shikhar Dhawan) লড়াকু ৯৯ রানের ইনিংস কাজে দিল না। রাহুল ত্রিপাঠী (Rahul Tripathi) ও এইডেন মারক্রামের (Aiden Markram) অপরাজিত শতরানের পার্টনারশিপে ভর করে মরসুমের প্রথম জয় পেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (SRH vs PBKS)। ১৭ বল বাকি থাকতে আট উইকেট হাতে রেখেই পাঞ্জাব কিংসকে পরাস্ত করেন মারক্রামরা। রাহুল ত্রিপাঠী ৭৪ ও মারক্রাম ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন।


ব্যর্থ ব্রুক


জয়ের জন্য ১৪৫ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না। তবে পাঞ্জাব কিংসের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিরুদ্ধে শুরুটা একেবারেই মন্থরভাবে করেছিল সানরাইজার্স। হ্যারি ব্রুকের দুঃস্বপ্নের মতো আইপিএল অব্যাহত রইল। তিনি ১৪ বলে মাত্র ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে মায়াঙ্ক অগ্রবালও ২১ রানের বেশি করতে পারেননি। ৮.৩ ওভারে ৪৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিরাট চাপে পড়ে যায় সানরাইজার্স। এমন পরিস্থিতিতে রানের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন ছিলই।


শতরানের পার্টনারশিপ


ঠিক সেই কাজটাই মাথা ঠান্ডা রেখে দুর্দান্তভাবে করেন মারক্রাম ও ত্রিপাঠী। দুই তারকাই স্পিন এবং পেস উভয় ধরনের বোলিংয়ের বিরুদ্ধেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে সক্ষম। পাঞ্জাবের ইনিংসের মাঝপথে তাই যেখানে মায়াঙ্ক মারকাণ্ডে দুরন্ত বোলিং করে পাঞ্জাবকে চাপে ফেলেছিলেন, সেখানে রাহুল চাহার ম্যাচে তেমন প্রভাবই ফেলতে পারেননি। মারক্রাম ও ত্রিপাঠী শতরানের পার্টনারশিপে সানরাইজার্সের সহজ জয় সুনিশ্চিত করেন।


প্রথম ইনিংস


এদিন টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ম্যাচ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই সঠিক প্রমাণিত করেন ভুবনেশ্বর কুমার। দুরন্ত ফর্মে থাকা প্রভসিমরন সিংহকে ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরান ভুবি। পরের ওভারেই ম্যাট শর্টকে ফেরান মার্কো জানসেন। জিতেশ শর্মাও চার রানে ফেরেন। শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাঞ্জাব। এমন পরিস্থিতিতে অধিনায়ক শিখরকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামেন স্যাম কারান।


দুই বাঁ-হাতি ব্যাটার পাঞ্জাবের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। পাওয়ার প্লেতে ৪১ রান তোলে পাঞ্জাব। তবে এই ম্যাচে সানরাইজার্সের হয়ে অভিষেক ঘটানো মায়াঙ্ক মারকাণ্ডে (Mayank Markande) বল হাতে নিয়েই এই পার্টনারশিপ ভাঙেন। ৬৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে পাঞ্জাব। পরপর টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় সিকন্দর রাজাকে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসাবে ব্যবহার করতে বাধ্যই হয় পাঞ্জাব। তবে জিম্বাবোয়ের তারকা অলরাউন্ডারও পাঁচ রানের বেশি করতে পারেননি।


২৫ রানের ব্যবধানে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে পাঞ্জাব। মারকাণ্ডে চার চারটি উইকেট নেন। ৮৮ রানে নয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল প্রীতি জিন্টার দল। তবে একদিকে যেখানে পরের পর উইকেট পড়ছিল, সেখানে অপরপ্রান্তে ৪২ বলে ৫০ রান করে ফেলেন শিখর। শেষ উইকেটে মোহিত রাঠেকে সঙ্গে নিয়েই এক অভূতপূর্ব লড়াই চালান শিখর। দশম উইকেটে শিখর ও মোহিত ৫৫ রান যোগ করেন। গোটা পার্টনারশিপে রাঠের অবদান ছিল মাত্র এক রান। 


হাতে উইকেট না থাকায় ইনিংসের শেষ ওভারে টি নটরাজনের বিরুদ্ধে চারটি ডট বল খেলতে কার্যত বাধ্য হন শিখর। তবে ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকান তিনি। দুর্ভাগ্যবশত ছয় মারলেও ১ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হয় শিখরের।


আরও পড়ুন: অধিনায়কের ভরসা ও নিজের দক্ষতায় আস্থাই সাফল্যের চাবিকাঠি, দাবি কেকেআর তারকা রিঙ্কুর