আমদাবাদ: রবিবাসরীয় সন্ধেতে গুজরাত টাইটান্স বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্সের (GT vs KKR) এক অভূতপূর্ব ম্যাচের সাক্ষী হয়ে থাকল গোটা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীরা। অবিশ্বাস্যভাবে ইনিংসের শেষ পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে কেকেআরকে তিন উইকেটে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জেতালেন উত্তরপ্রদেশের তরুণ ব্যাটার রিঙ্কু সিংহ (Rinku Singh)। 


অধিনায়কের ভরসা


শেষ পাঁচ বলে নাইটদের জয়ের জন্য ২৮ রানের প্রয়োজন ছিল। এমন কার্যত কঠিন পরিস্থিতিতেও কিন্তু নিজের ওপর আস্থা রেখেছিলেন রিঙ্কু। তাঁর ওপর আস্থা ছিল অধিনায়ক নীতিশ রানারও। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে রিঙ্কু বলেন, 'পরিস্থিতি কঠিন হলেও আমার নিজের দক্ষতার ওপর আস্থা ছিল। রানা ভাইও আমাকে ভরসা জুগিয়েছিলেন। ওঁ যাই হয়ে যাক না কেন, আমায় শেষ পর্যন্ত ক্রিজে টিকে থাকতে বলেছিলেন।' 


উমেশের পরামর্শ


রিঙ্কু জানান ক্রিজে অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা উমেশ যাদবও তাঁকে পরিস্থিতির কথা বেশি চিন্তা না করে নিজের স্বাভাবিক খেলা চালিয়ে যাওয়ার অভয় দেন। 'আমি ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টায় ছিলাম। উমেশ ভাই আমায় বেশ চিন্তাভাবনা না করে প্রতিটি বল খেলার জন্য বলছিলেন। ওঁর পরামর্শ মতোই নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলছিলাম, বল অনুযায়ী শট মারছিলাম। সৌভাগ্যবশত প্রতিটি বলই ঠিকঠাক সংযোগ হয়। নিজের দক্ষতায় ভরসা ছিলই এবং তার সুবাদেই সাফল্য পেলাম।' 


গুজরাতের বিরুদ্ধে ২০৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল না করলেও, বেঙ্কটেশ আইয়ার, নীতিশ রানার শতরানের পার্টনারশিপে ম্যাচে লড়াইয়ে ফেরে কেকেআর। কিন্তু নিজের পরপর দুই ওভারে রানাকে ৪৫ ও আইয়ারকে ৮৩ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে গুজরাতকে ম্যাচে ফেরান আলজারি জোসেফ। আর রশিদ খানের হ্যাটট্রিকের পর ম্যাচের মোড় সম্পূর্ণভাবে ঘুরে যায়। ১৫৫ রানে সাত উইকেট হারিয়ে কার্যত ধুঁকছিলেন নাইটরা। শুরুর দিকেও রিঙ্কুও বড় শট হাঁকাতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন।


 






তবে শেষ ওভারে খেলা সম্পূর্ণ ঘুরে যায়। পরপর পাঁচ বলে ছয় মেরে অবিশ্বাস্যভাবে কেকেআরকে জয় এনে দেন রিঙ্কু। তরুণ ক্রিকেটারের দৌলতে দুরন্ত জয়ে গোটা নাইট শিবিরই উচ্ছ্বাসে ভাসে। নীতিশ রানা, টিম সাউদিদের ছুটে এসে রিঙ্কুকে জড়িয়ে ধরার মধ্যেই সেই উচ্ছ্বাস স্পষ্টভাবেই ফুটে ওঠে। 


আরও পড়ুন: ৫ বলে ৫ ছক্কা হাঁকিয়ে ৩ উইকেটে কেকেআরকে অবিশ্বাস্য় জয় এনে দিলেন রিঙ্কু