বেঙ্গালুরু: তাঁদের সম্পর্ক খুব একটা মধুর বলে শোনা যায় না। বরং ভারতীয় ক্রিকেটের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য থাকার সময় বা পরে বোর্ডের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) সঙ্গে বেশ তিক্ততাই তৈরি হয়েছিল রবি শাস্ত্রীর (Ravi Shastri)। ভারতীয় দলের হেড কোচের পদ থেকে শাস্ত্রীর অপসারণের নেপথ্যেও অনেকে সৌরভের ভূমিকা ছিল বলে মনে করেন।


আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর এবার সৌরভকে খোঁচা দিলেন শাস্ত্রী। কটাক্ষের সুরে বললেন, বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসাবেই হয়তো ভাল ছিলেন সৌরভ। দিল্লি ক্যাপিটালসের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট হওয়ার চেয়ে।


শনিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (RCB)_কাছে ২৩ রানে হেরে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। ষোড়শ আইপিএলে এখনও জয়ের মুখ দেখেননি ডেভিড ওয়ার্নাররা। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরেছে দিল্লি। পয়েন্ট টেবিলে সকলের নীচে। শনিবার আরসিবির কাছে দিল্লির হারের পর ডাগ আউটে থমথমে মুখে বসেছিলেন সৌরভ। যিনি দিল্লির ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট। পাশেই ফ্যাকাসে মুখে বসেছিলেন কোচ রিকি পন্টিংও। ম্যাচের ধারাভাষ্যকারের কাজ করছিলেন শাস্ত্রী। সহ ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুল বলেন, 'সৌরভ আগে ভারতীয় বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিল।' শাস্ত্রী তখনই বলে ওঠেন, 'ওখানেই হয়তো ভাল ছিল।' যেন বোঝাতে চান, ডিরেক্টর হিসাবে এই ভরাডুবির দায় সৌরভও এড়াতে পারেন না।


তার আগেও একবার সৌরভকে খোঁচা দেন শাস্ত্রী। পরোক্ষে। দিল্লি তখন কার্যত হারের মুখে। ক্যামেরা তাক করা হয় দিল্লি ডাগ আউটের দিকে। সেখানে বসেছিলেন সৌরভ, পন্টিং ও ওয়ার্নার। শাস্ত্রী বলেন, 'পন্টিং কখনওই হারতে পছন্দ করে না। ওয়ার্নারও না।' কিন্তু সৌরভের নাম মুখে আনেননি শাস্ত্রী। পাশ থেকে সহ ধারাভাষ্যকার ডুল বলে ওঠেন, 'সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও আছে ওখানে।' শাস্ত্রী নির্লিপ্ত থাকেন।


 






যা শুনে সৌরভ প্রেমীরা বলাবলি করতে থাকেন, শাস্ত্রী কি দাদার জয়ের খিদে বা মানসিকতা নিয়ে ঘুরিয়ে প্রশ্ন তুললেন!


                                                                           


আরও পড়ুন: চিংড়ির মালাইকারি, ভেটকি পাতুরি, মিষ্টি দই, নববর্ষে কেকেআর শিবিরের মেন্যুতে কী?