বেঙ্গালুরু: নিকোলাস পুরানের সঙ্গে তাঁর পার্টনারশিপই কার্যত ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসকে (RCB vs LSG)। নেমেছিলেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে। ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২৪ বলে ৩০ রানের মহার্ঘ ইনিংস খেলে যান আয়ুষ বাদোনি (Ayush Badoni)। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টস ১ উইকেটে হারানোর পর অবশ্য বেশি আলোচনা চলল বাদোনির আউট হওয়ার ধরন দেখে। তাজ্জব ক্রিকেটবিশ্ব। অনেকে তো বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে, সত্যিই এভাবে আউট হয়েছেন বাদোনি।
আরসিবির বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে তখন ২ ওভারে আর মাত্র ১৫ রান বাকি লখনউয়ের। বোলার ওয়েন পার্নেল। পরপর ২টি ওয়াইড করেন তিনি। পরের তিন বলে ওঠে ৬ রান। যার মধ্যে বাদোনির মারা বাউন্ডারিও ছিল। চার মারার পরের বলেই পার্নেলকে স্কুপ করে থার্ড ম্যানের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন বাদোনি। কিন্তু পার্নেল দেখেন, শট শেষ করার সময় ফলো থ্রুতে বাদোনির ব্যাট স্টাম্পে গিয়ে লেগেছে। ফলে ৬ মারার পরেও আউট হয়ে যান বাদোনি। হিট উইকেট। সেই সঙ্গে নিয়ম মতো ছক্কাটিও বাতিল হয়।
হিট উইকেট এমনই আউট যে, বিশ্ব ক্রিকেটে কার্যত দেখাই যায় না। মাঝে-মধ্যে যাও বা হয়, সেটা ছক্কা মেরে, এমন নজিরও বিরল।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫ রান। হাতে ছিল ৩ উইকেট। বোলার ছিলেন হর্ষল পটেল। ওভারের প্রথম বলে ১ রান নেন জয়দেব উনাদকট। পরের বলেই মার্ক উড বোল্ড হয়ে যান। তৃতীয় বলে রবি বিষ্ণোই দৌড়ে ২ রান নেন। চতুর্থ বলে সিঙ্গল ছিনিয়ে নেন তিনি। ২ বলে তখন চাই আর ১ রান। কিন্তু পঞ্চম বলে আউট হয়ে যান উনাদকট। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ১ রান। লখনউয়ের হাতে আর মাত্র ১ উইকেট। আবেশ খানকে বল করতে গিয়ে নন স্ট্রাইকিং এন্ডে রবি বিষ্ণোইকে মাঁকড়ীয় আউট করার চেষ্টা করেন হর্ষল। তবে সফল হননি। আম্পায়ার ডেড বল ঘোষণা করেন। শেষ বল আবেশ খান ব্যাটে ঠেকাতে ব্যর্থ হন। কিন্তু উইকেটের পিছনে সঠিকভাবে বল সংগ্রহ করতে পারেননি দীনেশ কার্তিক। দৌড়ে ১ রান নিয়ে নেন আবেশ ও রবি। জয়ের পর উত্তেজনায় মাঠে হেলমেট ছুড়ে দেন আবেশ। ১ উইকেটে ম্যাচ জেতে লখনউ।
রবিবার গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে নাটকীয় শেষ ওভারে ম্যাচ জিতেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সোমবারও ম্যাচের ফয়সালা হল রুদ্ধশ্বাসভাবে।