আমদাবাদ: জয়ের জন্য ২০৫ রানের লক্ষ্য একেবারেই সহজ ছিল না। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে পরপর পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়ে তিন উইকেটে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (GT vs KKR) ম্যাচ জেতালেন রিঙ্কু সিংহ (Rinku Singh)। ২১ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন উত্তরপ্রদেশের তরুণ ব্যাটার রিঙ্কু।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ব্যাটিং ইনিংসের শুরুটা কেকেআর একেবারেই ভালভাবে করেনি। দুই নাইট ওপেনার এন জগদীশন ও রহমনুল্লাহ গুরবাজ, কেউই বড় রান করতে পারেননি। গুরবাজ ১৫ ও জগদীশন ৬ রানে আউট হন। ২৮ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে কেকেআর। এখান থেকেই দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নীতিশ রানা ও ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসাবে সুয়াশ শর্মার বদলে মাঠে নামা বেঙ্কটেশ আইয়ার। প্রথমে কিছুটা ধরে ধরে খেললেও, স্পিনার বোলিংয়ে আসতেই আক্রমণ শুরু করেন দুই নাইট তারকা। পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেটের বিনিময়ে ৪৩ রান তোল কেকেআর।
২৬ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। রশিদ খানের বল খেলা বরাবরই যে কোনও প্রতিপক্ষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁর বিরুদ্ধেই আক্রমণের পন্থা বেছে নেন আইয়ার-রানা। দুই তারকা শতরানের পার্টনারশিপও গড়েন। তবে যখন মনে হচ্ছিল এই দুই তারকা নাইটদের জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, তখনই ছন্দপতন। আলজারি জোসেফের বলে ৪৫ রানে আউট হন রানা। নিজের পরের ওভারে বেঙ্কটেশকেও ৮৩ রানে সাজঘরে ফেরান সেই জোসেফই।
ম্যাচে আন্দ্রে রাসেল বনাম রশিদ খানের লড়াইয়ের দিকে সকলেরই নজর ছিল। রাসেল ব্যাটে নামতেই বোলিংয়ে আসেন রশিদ। তিনি নিজের প্রথম তিন ওভারে ৩৫ রান খরচ করেছিলেন। দিনটা একেবারেই ভাল কাটছিল না তাঁর। তবে তিন বদলেই সবটা বদলে দেন রশিদ। রাসেল (১), নারাইন ও শার্দুলকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। তবে এটাই নাটকের শেষ নয়। নিশ্চিত পরাজয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়া নাইটদের ইনিংসে প্রাথমিক অক্সিজেনের জোগান দেন রিঙ্কু। ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে জশুয়া লিটলকে চার ও ছয় মারেন তিনি।
তবে তা সত্ত্বেও শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৯ রানের প্রয়োজন ছিল। এমন সময়ই অবিশ্বাস্যভাবে যশ দয়ালের পাঁচ বলে পাঁচ ছয় মেরে কেকেআরকে তিন উইকেটে ম্যাচ জেতান রিঙ্কু। এই নিয়ে আইপিএলে মাত্র দ্বিতীয়বার নাইটরা দুইশোর অধিক রান তাড়া করে ম্যাচ জিতল।
আরও পড়ুন: আইপিএলে না খেলালে লিটনদের দেশের জার্সিতে খেলার বার্তা বিসিবি চেয়ারম্যানের