লখনউ: ফের একবার। চলতি আইপিএলে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিবাদ সামনে চলে এল বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরের। গতকাল লখনউ বনাম আরসিবি ম্যাচের পর মাঠেই ঝামেলায় জড়ালেন ২ জন। যদিও পরিস্থিতি আরও অস্বাভাবিক হওয়ার আগেই বিরাট-গম্ভীরকে আলাদা করে দেন ২ দলের প্লেয়াররা। কিন্তু গতকালের ম্যাচের পর যখন ২ দলের প্লেয়াররা একে অপরের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় ও করমর্দন করছিলেন, তখনই গম্ভীরের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন কিং কোহলি। 


ঠিক কী হয়েছিল?


২০১৩ সালে প্রথমবার মাঠে কেকেআর বনাম আরসিবি ম্যাচ চলাকালীন ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন গম্ভীর-বিরাট। তখন কেকেআরের অধিনায়ক ছিলেন বাঁহাতি প্রাক্তন ওপেনার। অন্যদিকে বিরাট সেবারই আরসিবির অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই ম্যাচে আউট হওয়ার পরই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে যান ২ জনে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিরাটের খারাপ ফর্ম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন গম্ভীর। ২ জনের যে সম্পর্কের বরফ গলেনি, তা বোঝা গিয়েছিল চলতি বছর আইপিএলে আরসিবি-লখনউ প্রথম সাক্ষাতেই। সেই ম্যাচ শেষে লখনউয়ের জয়ের পর বিরাটের দিকে ইঙ্গিত করে 'চুপ' থাকার ইশারা করেছিলেন গম্ভীর। গতকাল যেন তারই পাল্টা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন বিরাট। আসলে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল লখনউয়ের ব্যাটিংয়ের সময়। মাত্র ১২৬ রানের পুঁজি রক্ষা করতে নেমে শুরু থেকই আক্রমণাত্মক মেজাজে মাঠে ফিল্ডিং করছিলেন কোহলি। লখনউ বোলার নবীন উল হকের সঙ্গে মাঠেই ঝামেলায় জড়ান তিনি। বেশ কথা কাটাকাটিও হয়। এরপর ম্যাচ শেষ হতেই ফের একবার নবীনের সঙ্গে বিরাটের কথা কাটাকাটি হয়। ঠিক সেই সময়ই গম্ভীর ও বিরাটের মধ্য়েও বিবাদ শুরু হয়। পরিস্থিতি হঠাৎই বেশ গরমাগরম হয়ে ওঠে।


 






বিরাট ও গম্ভীরকে দেখা যায় নিজেদের আত্মপক্ষ সমর্থনে কিছু বলছেন ও বোঝাচ্ছেন এক অপরকে। কিন্তু ঠিক কোন ইস্যুতে কথা বলছিলেন তাঁরা, তা পরিষ্কার নয়। এদিকে, এই ঘটনার জন্য গম্ভীর ও বিরাট কোহলির ১০০ শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হয়েছে। নবীন উল হকের ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটা হয়েছে। 


আরও পড়ুন: ওজন কমাতে কীভাবে সাহায্য করে মৌরী? রোজের মেনুতে উপকরণ রাখলে আর কী কী উপকার পাবেন?