কলকাতা: গত ম্যাচে ব্যাটে হাতে আরসিবির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। শূন্য রানেই তাঁকে সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ। তবে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে (PBKS vs RR) ফের স্বমহিমায় দেখা গেল ২১ বছরের তরুণ ওপেনারকে। ১৮৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জস বাটলার শূন্য রানে সাজঘরে ফিরলেও, যশস্বী নিজের অর্ধশতরানের ইনিংসে রাজস্থান   রয়্যালসের (Rajsthan Royals) হয়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন।


সর্বকালীন রেকর্ড ভাঙল


রাজস্থান ওপেনারের ইনিংস সাজানো ছিল আটটি চারে। এটি চলতি মরসুমে যশস্বীর পঞ্চম অর্ধশতরান। তিনি একটি শতরানও হাঁকিয়ে ফেলেছেন। ধর্মশালায় পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ইনিংসের সুবাদেই এক সর্বকালীন আইপিএল রেকর্ড নিজের নামে করে ফেললেন জয়সওয়াল। আইপিএল ইতিহাসে তিনি 'আনক্যাপড' ব্যাটার হিসাবে সর্বোচ্চ রান করে ফেললেন। এর আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন শন মার্শ। অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ঘটানোর আগেই মার্শ আইপিএলের ২০০৮ মরসুমে ১১ ম্যাচে ৬১৬ রান করেছিলেন। তাঁর গড় ছিল ৬৮.৪৪।


ঘটনাক্রমে ২০০৮ মরসুমে মার্শও একটি শতরানের পাশাপাশি আইপিএলে পাঁচটি অর্ধশতরান করেছিলেন। যশস্বী এ বারের গ্রুপপর্ব শেষ করলেন ১৪ ম্যাচে ৬২৫ রান করে। তিনি ৪৮.০৮ গড় ও ১৬৩.৬১ স্ট্রাইক রেটে নিজের রান করেছেন। মুম্বইয়ের তরুণ তুর্কি, রাজস্থানের হয়ে খেলা যশস্বী এখনও 'আনক্যাপড' অর্থাৎ জাতীয় দলের হয়ে এখনও খেলননি তিনি। তবে ইতিমধ্যেই কিন্তু তাঁকে জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়ার ডাক উঠছে। সুনীল গাওস্করের মতো কিংবদন্তিরাও তাঁর হয়ে ব্যাট ধরেছেন।


জাতীয় দলের সুযোগ ডাক


গাওস্কর মনে করেন বর্তমানে যশস্বীর আত্মবিশ্বাস একেবারে তুঙ্গে এবং তিনি তাই এই মুহূর্তে সহজেই ভারতীয় দলের হয়েও মাঠ কাঁপাতে পারেন। তিনি বলেন, 'কোনও ব্যাটার যদি টি-টোয়েন্টিতে ২০-২৫ বলে ৪০-৫০ রান করেন, তাহলে তিনি ঠিক ঠিকাই পারফর্ম করছেন। তবে ওপেনার হলে সেক্ষেত্রে যে কোনও দলই চাইবে যে ওপেনাররা ১৫ ওভার অবধি ক্রিজে টিকে থাকুক। এর মধ্যে যদি সে শতরান হাঁকিয়ে ফেলে, তাহলে দল সহজেই ২০০-র আশেপাশে রান তুলতে পারবে। সেই কারণেই এ মরসুমে যশস্বীর ব্যাটিং দেখে আমি খুবই খুশি হয়েছি। ওর টেকনিকটাও দুর্দান্ত।' 


প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার আরও যোগ করেন, 'আমার মনে হয় ও (আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য) তৈরি এবং ওকে সুযোগ দেওয়াও উচিত। ফর্মে থাকতে থাকতে কেউ সুযোগ পেলে, তাঁর আত্মবিশ্বাস একেবারে শীর্ষে থাকে। আন্তর্জাতিক অভিষেকের সময় তো মনে দ্বিধা-দন্দ্ব থাকেই। সেই সময় যদি ব্যাটাররা ফর্মে না থাকে, তাহলে সেই দ্বিধাটা আরও বেড়ে যায়। তাই ফর্মে থাকতে থাকতে সুযোগ পাওয়াটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'


আরও পড়ুন: সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কেমন সুইমিং পুল বেছে নেওয়া উচিত ?