কলকাতা: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের (Bhanu Bag) স্ত্রীকে হন্যে হয়ে খুঁজছে সিআইডি (CID)। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছে না ভানুর স্ত্রীর। এই অবস্থায় মৃত ভানুর ছোট ভাইয়ের জামাই নিশিকান্ত পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, বিস্ফোরণের পর নিশিকান্ত-সহ কয়েকজন ভানুর প্রাথমিক চিকিৎসা করে তাঁকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শেষপর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় (Egra Incident)।


তাই কী ঘটেছিল, তা জানতে ভানুর জামাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভানুর বাজি কারখানায় ২০-২৫ জন কাজ করতেন।  কারা কাজ করতেন? কী ধরনের কাজ হত? বাজি নাকি বোমা বানানো হত? তা জানার চেষ্টা করছে সিআইডি।  


এগরায় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ সহ তিন জনের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা এবং বিস্ফোরক আইনের ৯-এর বি ধারা যুক্ত করেছে সিআইডি। এর আগে, ভানু বাগ ও তাঁর পরিবারের  বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী অনিচ্ছাকৃত খুন, পুলিশের দেওয়া নির্দেশ অমান্য করা, বিস্ফোরক পদার্থের ব্যাপারে অবহেলামূলক আচরণ ও ফায়ার সার্ভিস অ্য়াক্টের ২৪ ও ২৬ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়। কিন্তু বিস্ফোরক আইনে কোনও মামলা রুজু করেনি পুলিশ।


আরও পড়ুন: Madan Mitra: ‘CPM আমলে ১ মিনিট সময় লাগত, আমরা থাকতে এমন!’, অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে SSKM বয়কটের ডাক মদনের


তাতে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, NIA এড়াতেই কি এই কৌশল? গতকালই, বিস্ফোরণের তীব্রতায় বিস্মিত হয়ে, প্রধান বিচারপতি মন্তব্য় করেন, "হে ভগবান, এত ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ! বিস্ফোরণের ব্যাপকতা এবং মৃত্যু দেখে আদালত মনে করছে, এক্ষেত্রে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার পর্যাপ্ত রসদ রয়েছে। CID খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে যে, বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার মতো তথ্য প্রমাণ পাচ্ছে কিনা।" 


কিন্তু বিস্ফোরণকাণ্ডের তিন দিনের মাথাতেই মৃত্য়ু হয়েছে মূল অভিযুক্ত ভানুর। কটকের রুদ্র হাসপাতালে মৃত্য়ু হয় বেআইনি বাজি কারখানার মালিকের। মঙ্গলবার এই ভানুর বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরকাণ্ডে প্রাণ হারান আট জন। ঝলসে যান ভানুও। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেই অবস্থাতেই ছেলে আর ভাইপোর সঙ্গে পাশের রাজ্য ওড়িশায় পালান এগরার বাজি-বাদশা। প্রায় ২৭০ কিলোমিটার দূরে, কটকের রুদ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ভানুকে। তার পর তাঁকে গ্রেফতার ওকরে পুলিশ। সূত্রের খবর, রাত সাড়ে ১২টায় চিকিৎসকদের নিয়ে সিআইডির টিম যায় বয়ান রেকর্ড করার জন্য়। কিন্তু কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না অভিযুক্ত। এর দু'ঘণ্টা পরই মৃত্য়ু হয় ভানুর।