নয়াদিল্লি : নিজের কেরিয়ারে সবথেকে অনুশোচনার কথা শোনালেন ভারতীয় ব্যাটার ও লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG)-এর অধিনায়ক কে এল রাহুল (KL Rahul)। তাঁর কথায় উঠে এল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথাও।


আইপিএলের চলতি মরসুমে লখনউ সুপার জায়ান্টস জার্সি গায়ে তাঁর। আজ লখনউয়ের স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার  কিংসের মুখোমুখি হচ্ছে তাঁর দল। তার আগে সামনে এল নিজের কেরিয়ার নিয়ে রাহুলের নিজস্ব কিছু চিন্তাভাবনার কথা।


আর অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলার সময় রাহুল জানান, বিশ্বকাপ ফাইনালে পিচে দীর্ঘক্ষণ টিকে থেকে দলকে ভাল স্কোরে পৌঁছে দিতে না পারার অনুশোচনা আছে তাঁর। রাহুলের কথায়, "অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনালে আমি দু'মনামনিতে আটকে গিয়েছিলাম। মিশেল স্টার্কের বলে শট নেব নাকি সাধারণভাবে খেলব তা নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল মনে, কারণ বল রিভার্স করছিল। এরকম একটা বিভ্রান্তকর পরিস্থিতিতে আমি ভুলভাবে শেষ করি। যদি শেষ অবধি খেলতে পারতাম, তাহলে আরও অন্তত ৩০ রান যোগ হত এবং সম্ভবত আমাদের হাতে উঠত বিশ্বকাপ। এই বিষয়টায় আমার খুব অনুশোচনা আছে।"


বিশ্বকাপ ফাইনালের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত মাত্র ২৪০ রান তুলতে পেরেছিল। রাহুল করেন ৬৬ রান, বিরাট কোহলি ৫৪ ও রোহিত শর্মা ৪৭ রান করেন। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে একসময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডে ওঠে ৪৭ রান। কিন্তু, ট্রাভিস হেডের ইনিংসে কার্যত স্বপ্নভঙ্গ হয় ভারতের। হেডের ১৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে আমদাবাদে ছয় উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় অস্ট্রেলিয়া। 


ব্যাট ও গ্লাভস হাতে অসাধারণ একটা টুর্নামেন্ট ছিল রাহুলের। বিশ্বকাপের ১০ ইনিংসে কে এল ৪৫২ রান করেন। গড় ৭৫.৩৩। এর মধ্যে একটি শতরান ও ২টি অর্ধ শতরান ছিল। তাঁর সর্বোচ্ছ রান ছিল ১০২। 


এর পাশাপাশি তিনি আরসিবি-র সঙ্গে ২০১৩-তে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার অভিজ্ঞতার কথাও ভাগ করে নেন। রাহুল বলেন, ওই ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে খেলা তাঁর স্বপ্ন ছিল। সেখানে প্রচুর শিখেছেন।


প্রসঙ্গত, ২০১৩ ও ২০১৬ মরসুমে RCB-র হয়ে খেলেছেন কে এল। ২০১৫-২০১৫-তে খেলেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সঙ্গে। পাঞ্জাব কিংসের জার্সিতে খেলেছেন ২০১৮-২০২১ ও এলএসজি-র হয়ে ২০২২ থেকে এখনও পর্যন্ত।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।