নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট বয়কটের দাবির মধ্যেই তাত্পর্য্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্ল। বিষয়টি নিয়ে এই প্রথম বিসিসিআইয়ের কোনও পদস্থ আধিকারিকের মন্তব্য সামনে এল। তাঁর কথায় জল্পনা তৈরি হয়েছে যে, ইংল্যান্ডে আগামী বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে অস্বীকার করতেও পারে ভারত।
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪০ সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু ঘটনার পর সারা দেশে নিন্দার ঝড় বইছে। পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এই হামলার দায়স্বীকার করে।
শুক্ল বলেছেন, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমরা খেলবে কিনা, তা এখন বলতে পারব না। কারণ, ওই টুর্নামেন্টের এখনও দেরি রয়েছে। দেখা যাক, কী হয়।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ভারতের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার সম্ভাবনা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে শুক্ল এ কথা বলেছেন।
আইসিসি-র প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে অস্বীকার করার ব্যাপারে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি শুক্ল। কিন্তু তাঁর মন্তব্যে যথেষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ সম্পূর্ণভাবে বয়কটের চিন্তাভাবনা বিসিসিআই-এর অন্দরে রয়েছে।
শুক্ল বলেছেন, আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। সরকারের সম্মতি না পেলে আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলি না। খেলা এ সবের উর্দ্ধে থাকা উচিত। কিন্তু কেউ যদি সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়, তাহলে অবশ্যই খেলাকেও প্রভাবিত করবে।
বিশ্বকাপে আগামী ১৬ জুন ওল্ড ট্রাফোর্ডে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে ভারতের। এই ম্যাচের টিকিট এক বছর আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে।
তাত্পর্য্যপূর্ণভাবে, ভারত আইসিসি টুর্নামেন্টে বা এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে বয়কটের কথা কখনও বলেনি। ২০১২—তে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজের পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আর কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি। তবে আইসিসি টুর্নামেন্টে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে দুটি দলল। ২০১৭-র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও এশিয়া কাপে দুই দলের ম্যাচ হয়েছিল।
২০০৮-র মুম্বই হামলার পর বিসিসিআই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এরপর থেকেই বোর্ড জানিয়ে এসেছে যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার বিষয়টি সরকারের অনুমোদনের ওপর নির্ভরশীল।
সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা করে শুক্ল বলেছেন, পাকিস্তানের কোনওভাবেই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা উচিত নয়।
শুক্ল বলেছেন, এসব মানুষের ক্ষোভের প্রতিফলন। মানুষ এভাবেই প্রতিবাদ জানাবেন। পাকিস্তানের এ সব বিষয় থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। তাদের সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া উচিত নয়। আমরা প্রথম দিন থেকেই এ কথা বলে আসছি। আমাদের সরকার যখন ছিল, তখন ওদের জড়িত থাকার ভুরিভুরি প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। ওদের এটা বোঝা উচিত।