আইপিএল আর নির্মল বিনোদন নয়, তরুণ ক্রিকেটাররা শুধু পয়সা কামাতেই এতে খেলতে চান, বলল বম্বে হাইকোর্ট
Web Desk, ABP Ananda | 29 Jan 2018 07:34 PM (IST)
মুম্বই: আইপিএল টি-২০ ক্রিকেট নিয়ে ক্ষোভ জানাল বম্বে হাইকোর্ট। এই প্রতিযোগিতা আর নির্মল বিনোদন নয় বলে অভিমত আদালতের। তরুণ ক্রিকেটাররা শুধু পয়সা কামানোর জন্যই আইপিএলে খেলতে আগ্রহী, তাঁরা একটা টুর্নামেন্ট থেকেই ৫-১০ কোটি টাকা আয় করে ফেলেন, দেশের জন্য খেলেন না বলে মত হাইকোর্টের। বিচারপতি এস সি ধর্মাধিকারী ও বিচারপতি ভারতী ডাঙ্গরেকে নিয়ে গঠিত বম্বে হাইকোর্টের বেঞ্চ প্রাক্তন আইপিএল চেয়ারম্যান ললিত মোদীর একটি পিটিশনের শুনানিতে এই বক্তব্য জানিয়েছে। একটি ফেমা মামলায় তাঁকে সাক্ষীদের পাল্টা জেরা করার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) ২০১৫-র জুলাইয়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ওই পিটিশন দেন ললিত। দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া ২০০৯ সালের আইপিএলে বিদেশি বিনিময় মুদ্রা সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে ইডি। ললিতের বিরুদ্ধে কয়েকজন সিনিয়র বিসিসিআই কর্তা সহ সাত সাক্ষীর বক্তব্য নথিবদ্ধ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, কিন্তু ললিতকে ওঁদের পাল্টা জেরার অনুমতি দেয়নি। তাঁর মক্কেলকে এই অনুমতি না দেওয়া হলে তাঁর মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হবে বলে সওয়াল করেন ললিতের কৌঁসুলি। ইডি-র তরফে হাজির হওয়া অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অনিল সিংহের কাছে আদালত জানতে চায়, এমন ছোট ছোট বিষয়কে এতদিন ধরে জিইয়ে রেখে কী লাভ হচ্ছে? বিচারপতি ধর্মাধিকারী বলেন, ইস্যুটা দীর্ঘদিন পড়ে আছে। বিদেশি মুদ্রা পরিচালনা আইন লঙ্ঘন রোধ করাই বৃহত্তর জনস্বার্থের ব্যাপার। যে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মনে করি, আইপিএল আর স্রেফ স্বচ্ছ বিনোদন নেই। তরুণ ক্রিকেটাররা শুধু পয়সার জন্যই আইপিএলে খেলতে চান, দেশের জন্য নয়। আদালত ললিতের কৌঁসুলিকে বলে, ভবিষ্যতে যদি তাঁকে প্রয়োজন হয়, তিনি কি দেশে ফিরে বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে তৈরি? কৌঁসুলি বলেন, আগে তাঁর মক্কেলকে মামলার সাক্ষীদের পাল্টা জেরার অনুমতি দিতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ য় ইডি বিদেশি মুদ্রা পরিচালনা আইনে (ফেমা) ললিতের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে। ২০০৯ এর আইপিএলের প্রাক্কালে দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলে বিসিসিআই ও আইপিএল কর্তৃপক্ষ। ফেমা লঙ্ঘন করে সেই অ্যাকাউন্টে ৫ কোটি মার্কিন ডলার ফেলা হয় বলে অভিযোগ ইডি-র।