নয়াদিল্লি: আর্থিক ক্ষেত্রে ঝিমুনির আঁচ বিশ্বের সবচেয়ে ধনবান ক্রিকেট সংস্থা ভারতের ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)-এর ওপরও পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বোর্ডের প্রথমসারির অর্থোপার্জনকারী টুর্নামেন্ট আইপিএল। আসন্ন মরশুমে আইপিএলে খরচের ক্ষেত্রে কাটছাঁট করতে চলেছে বোর্ড। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি সহ আইপিএলের সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের কাছে ইতিমধ্যেই পাঠানো একটি সার্কুলারে বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে যে, এবারের সিজন থেকে আইপিএলে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান হবে না। সার্কুলারে আরও জানানো হয়েছে, প্লে-অফের জন্য স্থায়ী তহবিলে অর্থ এবার কমানো হবে। এক্ষেত্রে ২০২০-তে ৫০ শতাংশ হ্রাসের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে টুর্নামেন্টে জয়ী দলের পুরস্কার মূল্য ২০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১০ কোটি করার কথাও বলা হয়েছে। সেই অনুসারে ২০২০-এর আইপিএলে রানার-আর দলের পুরস্কার মূল্য সাড়ে বারো কোটি টাকা থেকে কমে হতে পারে ৬.২৫ কোটি। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানাধিকারী দলগুলি (কোয়ালিফায়ার ২ প্লেঅফে পরাজিত দল এবং প্লেঅফ ম্যাচের এলিমিনেটরে পরাজিত দল) প্রত্যেকে পাবে ৮.৭৫ কোটি টাকার পরিবর্তে ৪.৩৭৫ কোটি টাকা।
প্রত্যেক ম্যাচের জন্য রাজ্য সংস্থাগুলি ৫০ লক্ষ টাকা করে পায়। বিসিসিআই ও ফ্র্যাঞ্চাইজি রাজ্য সংস্থাগুলিকে সেই টাকা দেয়। সূত্র উল্লেখ করে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, এর অর্থ রাজ্য সংস্থাগুলি এখন প্রতি আইপিএল ম্যাচের জন্য ১ কোটি করে টাকা পাবে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই ঘটনাক্রমে আদৌ সন্তুষ্ট নয় ফ্র্যাঞ্জাইজিগুলি। দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি জানিয়েছে যে, বিষয়টি নিয়ে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিতর্ক করবে।
খরচ কমাতে বোর্ড ইতিমধ্যেই তার সাপোর্ট স্টাফদের ভ্রমণ সংক্রান্ত নীতি জারি করেছে। এর আগে পদস্থ কর্মীদের তিন ঘন্টার বেশি বিমানে যাত্রার ক্ষেত্রে বিজনেস ক্লাসের টিকিট মিলত। নতুন নীতি অনুসারে, আট ঘন্টার কম যাত্রা হলে ইকনমি ক্লাসেই যাতায়াত করতে হবে।
সূত্র উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, এ ক্ষেত্রে দুই-তিন জন সবচেয়ে পদস্থ কর্মী ছাড়া বাকি সবার ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।