মোহালি: পাঁচ বছর আগে, ২০১৯ সালে তাঁকে মাত্র ২০ লক্ষ টাকায় দলে নিয়েছিল পাঞ্জাব কিংস। সেই থেকে তিনি পাঞ্জাবের হয়েই আইপিএলে খেলেন। ফের সেই অর্শদীপ সিংহকে (Arshdeep Singh) দলে নিল পাঞ্জাব কিংস (Punjab Kings)। তবে এবার ১৮ কোটি টাকা খরচ করে।
একটা সময় অর্শদীপকে মনে করা হতো দলের মাথাব্যথা। আইপিএল হোক বা ভারতীয় দল, ডেথ ওভারে তাঁর হাতে বল মানেই মনে করা হতো ম্যাচে হার অবশ্যম্ভাবী। স্লগ ওভারে প্রচুর রান খরচ করতেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে ট্রোলিং করা হতো।
সেই অর্শদীপই এখন দলের সম্পদ। টি-২০ বিশ্বকাপের পর থেকে যেন নবজন্ম হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রবল চাপের মুখে তাঁর দুরন্ত স্পেল এখনও ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতিতে টাটকা। আইপিএলের নিলামে তাঁকে নিয়ে যে দর কষাকষির ঝড় উঠবে, বোঝাই গিয়েছিল।
হলও তাই। নিলামের একেবারে শুরুতে অর্শদীপকে তোলা হয়। ন্যূনতম দাম ছিল ২ কোটি টাকা। শুরুতেই অর্শদীপের জন্য দর হাঁকতে শুরু করে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। লড়াইয়ে ঢুকে পড়ে দিল্লি ক্যাপিটলসও। সাড়ে ৭ কোটি টাকা দাম ওঠার পর সরে দাঁড়ায় সিএসকে। লড়াইয়ে নামে গুজরাত টাইটান্স। গুজরাতের কোচ আশিস নেহরা নিজে বাঁহাতি পেসার ছিলেন। বাঁহাতি পেসার অর্শদীপের জন্য তাঁর দুর্বলতা থাকাটাই স্বাভাবিক।
তবে অর্শদীপের দাম ১০ কোটি টাকা ছাড়াতেই লড়াইয়ে নামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। লড়াইয়ে নামে রাজস্থান রয়্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদও। ১৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় হায়দরাবাদে অর্শদীপের যাওয়া কার্যত পাকা হয়ে যায়।
সেই সময়েই নাটকীয় চাল পাঞ্জাবের। যারা অর্শদীপকে রিটেন করেনি। কিন্তু রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। হায়দরাবাদ জানায়, তারা সর্বোচ্চ ১৮ কোটি টাকা দিতে প্রস্তুত। পাঞ্জাবও সেই ১৮ কোটি টাকাতেই অর্শদীপকে দলে ফেরায়।
চড়া দাম পেয়ে উচ্ছ্বসিত অর্শদীপ। বলেছেন, 'দারুণ খুশি। ফের ঘরের মাঠে নিজের চেনা দর্শকদের সামনে খেলবে ভেবে রোমাঞ্চিত। সমর্থকদের ভালবাসার জন্য ধন্যবাদ। দলকে ট্রফি জেতানোর জন্য সর্বস্ব দেব।'
আরও পড়ুন: শ্রেয়সকেও দামে ছাপিয়ে গেলেন পন্থ, ২৭ কোটি টাকায় দিল্লির হাত থেকে ছিনিয়ে নিল লখনউ