কলকাতা: আইপিএলে অনেকেই অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁর পারফরম্যান্স দেখার জন্য। বারবার প্রত্যাশা জাগিয়েও বড় সাফল্য পাননি। আইপিএলে সেই ঋষভ পন্থের ব্যাটিং দেখার জন্য মুখিয়ে সমর্থকেরা। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানকে নিয়ে বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ রিকি পন্টিংও। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি জানিয়ে দিলেন, ঋষভের ওপর কোনও চাপ তৈরি হতে দিতে চান না তিনি।

রবিবার কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু করছে দিল্লি। তার আগের দিন রিকি বলেছেন, ‘ঋষভ খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। ওকে বাড়তি চাপে রাখতে চাই না। মাঠে নেমে নিজের সাবলীল ক্রিকেটটা খেলতে বলেছি। ওর ওপর থেকে প্রত্যাশার চাপ সরাতে চাইছি। আমি নিশ্চিত ও টুর্নামেন্টে ভাল খেলতে চাইবে। তবে কোনও একজনের ওপর বেশি প্রত্যাশা রেখে চাপ তৈরি করলে হবে না। ও একজন ম্যাচ উইনার।’

শিখর ধবন-অজিঙ্ক রাহানে-ঋষভ সমৃদ্ধ টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ে ট্রফি জয়ের সেরা অস্ত্র মনে করছেন পন্টিং। ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘মিডল অর্ডারে অনেক বিকল্প রয়েছে। রাহানে আসায় ব্যাটিংয়ে গভীরতা বেড়েছে। শিখর ধবন নিজের খেলাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। ১৪০ স্ট্রাইক রেট রেখে প্রায় ছশো রান করেছিল গতবার। এবারও দারুণ ছন্দেই ওকে দেখতে পাব বলে বিশ্বাস। শ্রেয়সের গত এক বছর হয়তো ওর কেরিয়ারের সেরা সময়। পন্থ, মার্কাস স্টোইনিস, সিমরন হেটমায়ার সমৃদ্ধ ব্যাটিং প্রতিপক্ষকে ভয় ধরাবে। পাশাপাশি অক্ষর পটেল, হর্ষল পটেল, ললিত যাদবের মতো অলরাউন্ডার রয়েছে। সব বিভাগেই ভারসাম্য রয়েছে। টপ অর্ডার আমাদের ট্রফি এনে দিতে পারে।’

দর্শকশূন্য মাঠে খেলা অন্যরকম অভিজ্ঞতা হতে চলেছে বলে মনে করেন পন্টিং। বলছেন, ‘আইপিএলে অনেক কিছুই নতুন হতে চলেছে। তবে ছেলেরা সাড়ে তিন সপ্তাহ ধরে প্র্যাক্টিস করছে। করোনা মোকাবিলায় সমস্তরকম সতর্কতা মেনে চলা হচ্ছে। আমরা সব সময়ই জনসমর্থন পেয়ে এসেছি। প্রথম ম্যাচটা খেললে বোঝা যাবে কোথায় দাঁড়িয়ে আছি।’ যোগ করেছেন, ‘একটা স্টেডিয়ামে ২৪টা ম্যাচ খেলা হবে। তাই পরিবেশ-পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকবে। এখনও পর্যন্ত পিচে হাল্কা ঘাস রয়েছে। ম্যাচের আগে কিছুটা কাটা হবে। তবে একটা ম্যাচ খেললে বুঝব স্পিনাররা কতটা সাহায্য পাবে। কিংস ইলেভেন পঞ্জাব শক্তিশালী দল। সব দলেই ভাল ক্রিকেটার রয়েছে। তবে আমাদের প্রস্তুতি একশো শতাংশ হয়েছে আর মাঠে সেরাটা দিতে পারলে যে কোনও দলকে হারাতে পারি।’

করোনা পরিস্থিতিতে বল পালিশে লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়েছে। পন্টিং বলছেন, ‘লালা ব্যবহার করে বল পালিশ করা ক্রিকেটারদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। অসচেতনভাবে কেউ লাগিয়ে ফেলতেই পারে। তবে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। সতর্ক থাকবে সকলে। তবে টি-টোয়েন্টিতে বলের পালিশ খুব বড় ব্যাপার নয়। টেস্টে এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার বলেছেন, ‘এবার আমাদের দলে আর অশ্বিন ও অজিঙ্ক রাহানে যোগ দিয়েছে। দুজনই খুব অভিজ্ঞ। প্র্যাক্টিসে সকলে নিজেদের নিংড়ে দিচ্ছে। রিকি থাকায় সকলে খুব আত্মবিশ্বাসী। দুবাইয়ের উইকেট মন্থর। টুর্নামেন্টের পরের দিকে আমাদের সুবিধা হবে। অশ্বিন সকলের সামনে উদাহরণ হয়ে উঠবে।’