নয়াদিল্লি: আইপিএল-এর সম্প্রচার স্বত্ব বাবদ ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করতে চলেছে বিসিসিআই। এখন আইপিএল-এর সম্প্রচার স্বত্ব বাবদ ২৫৫ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে বিসিসিআই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থার সঙ্গে নতুন করে চুক্তি হলে এই অর্থ দ্বিগুণ হতে চলেছে।


সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, বিসিসিআই-এর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র কর্তা এ বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অতি পরিচিত সংস্থা কিছুদিন আগে বিসিসিআই-এর কাছে আইপিএল-এর স্বত্ব বিষয়ক প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। ওই সংস্থাটি আইপিএল-এর স্বত্ব পেতে আগ্রহী। ২০২২ থেকে আইপিএল-এ ১০টি দল খেলবে। ফলে ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে হবে ৭৪। এতে সম্পত্তির মূল্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন দুই দল আইপিএল-এ যুক্ত হলে ৭,০০০ থেকে ১০,০০০ কোটি টাকা আসতে পারে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই আইপিএল-এর সম্প্রচার স্বত্বের দরও আকাশছোঁয়া হয়ে যাবে। আমরা আশা করছি, আইপিএল-এর সম্প্রচার স্বত্ব বাবদ অন্তত ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার পাওয়া যাবে। ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারও পাওয়া যেতে পারে।’


এখন আইপিএল-এর টেলিভিশন ও ডিজিট্যাল সম্প্রচার আছে স্টার ইন্ডিয়ার হাতে। ১৬,৩৪৭.৫০ কোটি টাকায় ২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইপিএল-এর সম্প্রচারের স্বত্ব পায় স্টার ইন্ডিয়া। এবার সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। বিসিসিআই সূত্রে খবর, স্টার ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী নয় তারা। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তি করতেই বেশি আগ্রহী বিসিসিআই। কারণ, মার্কিন সংস্থাটির প্রস্তাব অত্যন্ত লোভনীয়। ২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত মার্কিন সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তি হতে পারে।


স্টার ইন্ডিয়ার আগে আইপিএল-এর সম্প্রচার স্বত্ব ছিল সোনি ইন্ডিয়ার হাতে। ২০০৮ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত সোনিই আইপিএল সম্প্রচার করেছে। তবে ২০১৭ সালে সোনির চেয়ে ৫,৩০০ কোটি টাকা বেশি দর দেয় স্টার। তার ফলে তারাই আইপিএল সম্প্রচারের দায়িত্ব পায়। সোনি ইন্ডিয়া দর দিয়েছিল ১১,০৫০ কোটি টাকা। সেখানে স্টার ইন্ডিয়ার দর ছিল ১৬,৩৪৭.৫০ কোটি টাকা।


সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, বিসিসিআই ডিজিট্যাল ও টেলিভিশন সম্প্রচারের জন্য আলাদা দরপত্র চাইতে পারে। একসঙ্গে ডিজিট্যাল ও টেলিভিশনের জন্যও দরপত্র চাওয়া হতে পারে। যে কোনও সংস্থা দরপত্র জমা দিতে পারে, কিন্তু কোনও সংস্থার দেওয়া টেলিভিশন ও ডিজিট্যাল সম্প্রচারের একত্রিত দর যদি অন্য সংস্থাগুলির একক দরের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে একত্রিত দরকেই বেশি গুরুত্ব দিতে পারে বিসিসিআই।