মুম্বই: রাজপুত তিনি। মজা করে অনেকে বলেন, স্যার রবীন্দ্র জাডেজা। তিনি তলবারি চালাতে পারেন। ঘোড়া ছোটান। সৌরাষ্ট্রে তাঁর ফার্মহাউসে রীতিমতো আস্তাবল রয়েছে।


আইপিএল চলাকালীন সেই জাডেজাই বিমর্ষ। এমনকী, আগের দিনই তাঁর দল চেন্নাই সুপার কিংস রীতিমতো দাপট দেখিয়ে জেতার পরও। কারণ, প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তিনি।


বীরকে হারিয়ে মুষড়ে পড়েছেন জাডেজা। কে এই বীর?


জাডেজার পোষা ঘোড়া। সাদা ধবধবে। জাডেজার অন্যতম প্রিয়পাত্র। আইপিএল চলাকালীন আচমকাই মারা গিয়েছে বীর। আর সেই খবর শুনে শোকগ্রস্ত সৌরাষ্ট্রের অলরাউন্ডার। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই পোষ্যের মৃত্যুসংবাদ দিয়েছেন জাডেজা। বীরের সঙ্গে তাঁর চারটি ছবির কোলাজ পোস্ট করেছেন চেন্নাই সুপার কিংসে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অন্যতম প্রধান ভরসা। সেই সঙ্গে জাডেজা লিখেছেন, 'আজ মনে পড়ে যাচ্ছে তোর সঙ্গে কাটানো প্রত্যেকটা দুর্দান্ত মুহূর্ত। আমি সেই স্মৃতিগুলো আঁকড়ে থাকব। কোনওদিন ভুলব না। আমার ভালবাসার বীর, তুমি আমার সর্বকালের সবচেয়ে প্রিয়দের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছো। শান্তিতে বিশ্রাম নাও।'



ঘোড়াদের দারুণ ভালবাসেন জাডেজা। তিনি একাধিকবার জানিয়েছেন যে, লকডাউনের সময় পোষা ঘোড়াদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটিয়েছেন। জাডেজার খামারবাড়ি রয়েছে গুজরাতের জামনগরে, শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। সেখানে রয়েছে তাঁর কয়েকটি ঘোড়া। তিনি বলেছেন, ক্রিকেট প্র্যাক্টিসের জন্য খামারবাড়িতে বিশেষ থাকতে পারেন না তিনি। তবে লকডাউনে ঘোড়াদের সঙ্গে সময় কেটেছিল। ঘোড়া চড়তে আগে বন্ধুর বাড়ি যেতেন, তারপর তিনি নিজেও ঘোড়া পুষতে ও ঘোড়ার ব্রিডিংয়ে আগ্রহী হয়ে পড়েন। ২০১০-এ কয়েকটি ঘোড়া কেনেন জাডেজা। তাদের যত্নআত্তি করেন তিনি, ব্রিডিং করান, তবে ঘোড়া বিক্রি করেন না। ঘোড়ার খাবারে তিনি রাখেন নির্দিষ্ট অনুপাতে চানা, গুড় আর শস্য। দেখেন, যাতে সেরা গুণমানের ঘাস পায় তারা। ঘোড়ার ডায়েট প্ল্যান নিয়ে মাথা ঘামাতে ভালবাসেন তিনি। জানেন, কী খেলে জীবজন্তু শক্তিশালী, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়। সব কিছু নিজে হাতে ঠিক করেন জাডেজা। তাই বীরের মৃত্যুতে এতটা মর্মাহত তিনি।


ওকে প্লেন থেকে ছুড়ে ফেলে দাও, মেজাজ হারালেন কোহলি?