মুম্বই: বিরাট কোহলি বলছেন, 'ওকে প্লেন থেকে ছুড়ে ফেলে দাও।' যুজবেন্দ্র চাহাল অতটা নিষ্ঠুর না হলেও শাস্তির পক্ষপাতী। হরিয়ানার লেগস্পিনার বলছেন, 'এক কাজ করা যাক। ওকে বিমানের শৌচালয়ে বন্ধ করে রাখো।' শেষ পর্যন্ত তাই হল। মিস্টার নাগস-কে বিমানের ঘুপচি ওয়াশরুমেই বন্ধ করে বাইরে থেকে দরজা আটকে দিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ক্রিকেটারেরা।


কে এই মিস্টার নাগস? কেনই বা বিরাট-চাহালরা তাঁকে নিয়ে এঁত কঠোর শাস্তির নিদান দিচ্ছেন?


'মিস্টার নাগস' আসলে কমেডিয়ান দানিশ শেঠ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর তাঁকে সঞ্চালক হিসাবে নিয়োগ করেছে। এবং মজা করে তিনি গোটা দলকে মাতিয়ে রাখছেন। কিন্তু তাঁকে এত কঠোর শাস্তি দিতে চান কেন বিরাট-চাহালরা?


চেন্নাইয়ে আইপিএলের প্রথম পর্বের তিনটি ম্যাচ খেলে মুম্বই উড়ে গিয়েছেন কোহলিরা। একই বিমানে দলের সঙ্গে মুম্বই গিয়েছেন মিস্টার নাগস-ও। বিমানে তাঁকে দেখা যায় কেবিন ক্রুর ভূমিকায়। যাত্রাপথের খুঁটিনাটি ঘোষণা করার পরই তাঁর মাথায় অদ্ভুত এক খেয়াল আসে। তিন ম্যাচের তিনটিই জিতে আইপিএলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আরসিবি। কেমন হয় যদি শীর্ষে থেকেই বেঙ্গালুরু ফিরে যাওয়া যায়! যদি আর টুর্নামেন্টে না খেলেন কোহলিরা, প্রথম তিন ম্য়াচের পর শীর্ষে থাকার ঘটনা তো আরসিবির ইতিহাসে কোনওদিন হয়নি। তাহলে এখানেই বা টুর্নামেন্টটা শেষ করে দেওয়া হবে না কেন? আজব এই প্রস্তাব আরসিবি কোচ মাইক হেসনকে দেন মিস্টার নাগস। হেসন অবশ্য় আমল দেননি।


এরপর সোজা কোহলির কাছে দরবার করে বসেন নাগস। বিমানেই আরসিবি অধিনায়ককে তিনি বলেন, 'আমরা তো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। চলো এখানেই টুর্নামেন্ট শেষ করে দিয়ে বেঙ্গালুরু ফিরে যাই।' আজব এই প্রস্তাব শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন কোহলি। তারপর সতীর্থদের উদ্দেশে বলেন, 'একে প্লেন থেকে ছুড়ে ফেলে দে তো!'



হতোদ্যম না হয়ে এরপর চাহালের কাছে যান নাগস। চাহাল সব শুনে বলেন, 'মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে তোমার? একে টয়লেটে বন্ধ করে দে।' সঙ্গে সঙ্গে মিস্টার নাগসকে টয়লেটে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভিতরে থেকে তিনি দরজা ধাক্কা দিতে শুরু করেন। বলতে থাকেন, 'তোমরা এমন করতে পার না... দলের জন্য আমার অবদান ভুলে যেও না...'


প্লেন ল্যান্ড করে মুম্বইয়ে। মজার এই ঘটনার ভিডিও পরে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে আরসিবি।