আমদাবাদ: সামনে মারেন, পিছনে মারেন, ডান দিকে মারেন, বাঁদিকে মারেন, সোজাসুজি মারেন, আড়াআড়ি মারেন। এতরকম শটের জন্য বিশ্বক্রিকেটে তাঁর নামকরণই হয়ে গিয়েছে মিস্টার থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি। অর্থাৎ, শরীরকে নিজের ইচ্ছেমতো ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরিয়েও শট মারতে পারেন। মঙ্গলবার সেই এ বি ডিভিলিয়ার্স বিরাট কোহলিদের ধুঁকতে থাকা ইনিংসের রং পাল্টে দিলেন।

  


আমদাবাদের নবনির্মনিত নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে একটা সময় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের স্কোর ছিল ১৭ ওভারে ১২৮/৪। মনে করা হচ্ছিল, হয়তো দেড়শোর আশেপাশে স্কোর করবে আরসিবি। সেখানে ২০ ওভারের শেষে আরসিবি তুলল ১৭১/৫। যার নেপথ্যে এ বি ডিভিলিয়ার্সের দুরন্ত ব্যাটিং। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৪২ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত রইলেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও পাঁচটি ছক্কা। ডিভিলিয়ার্সের দাপটে শেষ ৩ ওভারে আরসিবি তুলল ৪৩ রান। শেষ ওভারে মার্কাস স্টোইনিসের বলে ২৩ রান নেন এ বি।


এবি ছাড়া অবশ্য আর কেউই বড় রান পাননি। বিরাট কোহলি ১১ বলে ১২ রান করেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২০ বলে ২৫ রান করে আউট হয়ে যান। দিল্লি এদিন ইশান্ত শর্মাকে খেলায়। চলতি আইপিএলে প্রথমবার মাঠে নেমে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে এক উইকেট নেন তিনি। একটি করে উইকেট পেয়েছেন আবেশ খান, অমিত মিশ্র, কাগিসো রাবাডা ও অক্ষর পটেল।


দিল্লি এই ম্যাচে পায়নি আর অশ্বিনকে। পরিবারের অনেকে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আইপিএল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অশ্বিন। তিনি বল হাতে উইকেট হয়তো বেশি পাননি, কিন্তু প্রত্যেক ম্যাচেই কৃপণ বোলিং করেছেন। তাঁর চার ওভারে প্রতিপক্ষ ব্যাটিংয়ের ওপর যে চাপ তৈরি হতো, তার ফায়দা তুলে অন্য প্রান্ত থেকে উইকেট তুলে নিতেন দিল্লির অন্যান্য বোলাররা। অন্যদিকে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের টুর্নামেন্টের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এই প্রথম শুরু থেকে টানা চার ম্যাচ জিতেছিল। তবে আগের ম্য়াচে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হারতে হয়েছিল বিরাট কোহলিদের। টুর্নামেন্টের প্রথম হারের ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই কোহলিদের।