নয়াদিল্লি: ১৭ বছর আগের আইপিএলের (IPL 2008) এক ঘটনা পুরো ক্রিকেটবিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (বর্তমানে পাঞ্জাব কিংস) ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এক ম্যাচ শেষে এস শ্রীসন্থকে (S Sreesanth) কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। অভিযোগ আনা হয় জাতীয় দলে তাঁরই সতীর্থ হরভজন সিংহ (Harbhajan Singh) তাঁকে চড় মেরেছেন। হরভজনের কড়া শাস্তি হয়। সেই ঘটনা নিয়ে একবার জোর চর্চা। কারণ সদ্যই তৎকালীন আইপিএল চেয়ারম্যান ললিত মোদি সদ্যই মাইকেল ক্লার্কের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ওই কুখ্যাত ঘটনা র-ফুটেজ অর্থাৎ ভিডিওটি সর্বসমক্ষে প্রকাশ করেন।
এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় একেবারে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন এস শ্রীসন্থের স্ত্রী ভুবনেশ্বরী শ্রীসন্থ। ললিত মোদি ও মাইকেল ক্লার্ককে অমানবিক আখ্যা দিয়ে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন ভুবনেশ্বরী। সোশ্য়াল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, 'ললিত মোদি ও মাইকেল ক্লার্ক, তোমাদের লজ্জা করে না। কেবল নিজেদের পাবলিসিটি ও কয়েকটি ভিউ কুড়ানোর লক্ষ্যে ২০০৮ সালের একটি ঘটনাকে টেনে আন তোমারা, আর যাই হোক মানুষ হতে পার না। এই ঘটনার পর শ্রীসন্থ ও হরভজন সিংহ সবভুলে অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছেন। বর্তমানে ওঁদের দুইজনের সন্তানরাই স্কুলে যায়। তা সত্ত্বেও তোমরা ওঁদের আবার ওই পুরনো ক্ষতটা মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছ। একেবারে জঘন্য, করুচিকর এবং অমানবিক।'
এখানেই শেষ নয়, শ্রীসন্থ-ঘরণী ললিত মোদিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন। তিনি লেখেন, 'এমন ঘটনা ঘটানোর জন্য তোমাদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। কুরুচিকর ও অমানবিক। শ্রীসন্থের মানসিকভাবে ও চারিত্রিক দিক থেকে অত্যন্ত শক্তিশালী এবং কোনও ভিডিও তাঁর থেকে তাঁর এই আত্মসম্মানটা কেড়ে নিতে পারে না। নিজেদের সুবিধার্থে পরিবার এবং শিশুদের আঘাত করার আগে ঈশ্বরকে অন্তত ভয় পাও।'
প্রসঙ্গত, ঘটনার সময়কালে ১৭ বছর আগে এর তেমন কোনও ভিডিও পাওয়া যায়নি। তবে এতদিন পর সেই ঘটনার ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এই বিতর্কিত ঘটনার ফুটেজ বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে হরভজন শ্রীসন্থকে উল্টো হাতে চড় মারছেন। ঘটনাটির পর মাহেলা জয়বর্ধনে এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কিছু খেলোয়াড় কান্নায় ভেঙে পড়া শ্রীসন্থকে শান্ত করারও চেষ্টা করেন।
এই ঘটনায় হরভজনের কড়া শাস্তিও হয়েছিল। তাঁকে সেই আইপিএলের বাকি মরশুম থেকে নির্বাসিত করার পাশাপাশি ১১ ম্যাচের জন্যও নির্বাসিত করা হয়। হরভজন দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁর ম্যাচ থেকে প্রাপ্ত বেতনও কাটা গিয়েছিল। সেই ঘটনার পর অনেকটা সময় কেটে গেলেও, এর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই কিন্তু ফের একবার এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।