ধরমশালা: ২৩৭ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তার মধ্যে টপ অর্ডার ভেঙে পড়েছিল পাওয়ার প্লে-তেই। কিন্তু তিনি একটা শেষ চেষ্টা করেছিলেন। ৪০ বলে ঝোড়ো ৭৪ রানের ইনিংস খেলে একটা মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না। উল্টোদিকে সঙ্গ না পাওয়ায় লখনউয়ের হার বাঁচাতে পারেননি আয়ুশ বাদোনি। কিন্তু পঞ্জাবের বিরুদ্ধে এই অর্ধশতরানের ইনিংস খেলার সঙ্গে সঙ্গেই এক নতুন নজির গড়ে ফেললেন ডানহাতি তরুণ এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। নিজের ইনিংসে পাঁচটি বাউন্ডারি ও পাঁচটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান বাদোনি।

২৫ বছরের তরুণ বাদোনি লখনউয়ের জার্সিতে পাঁচ নম্বরে বা তার নীচে নেমে ব্যাটিং করে সর্বাধিক অর্ধশতরান হাঁকানোর নজির গড়লেন। মোট ছয়টি অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছেন এখনও পর্য়ন্ত এই ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সিতে বাদোনি। তিনি টেক্কা দিলেন নিকোলাস পুরাণকে। যিনি পাঁচটি অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন পাঁচ বা তার নীচে ব্যৈাটিং করতে নেমে এই দলের জার্সিতে। 

গতকাল অর্ধশতরানের ইনিংস খেলার সঙ্গে সঙ্গে এই দলের জার্সিতে তৃতীয় সর্বাধিক রানের মালিকও হয়ে গিয়েছেন বাদোনি। ১৪১০ রান করে এই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছেন কে এল রাহুল। নিকােলাস পুরাণ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ১২৬৭ রান করে। বাদোনি এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ৯৬০ রান করে। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন মার্কাস স্টোইনিস। তাঁর ঝুলিতে ৯৫২ রান। এঁদের মধ্যে রাহুল ও স্টোইনিস আর এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সদস্য নন। ফলে বাদোনির সামনে সুযোগ থাকছে নিজের রান সংখ্যা আরও বাড়িয়ে নেওয়ার।

রান তাড়া করতে নেমে একটা বড় পার্টনারশিপের দরকার ছিল শুরুতেই। কিন্তু প্রথমেই ধাক্কা খায় লখনউ শিবির। অর্শদীপ সিংহ খাতা খোলার আগেই আউট করে দেন মিচেল মার্শকে। পাঁচ বল খেলে কোনও রান না করেই ফিরে যান তিনি। লখনউয়ের এই মরশুমের সেরা প্লেয়ার নিকোলাস পুরাণ পর্যন্ত এদিন ব্যাটে-বলে কানেক্ট করতে গিয়ে হিমশিম খেলেন। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫ বলে ৬ রান করেন তিনি। ২টো বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্য়ে ১৭ বলে ১৮ রান করেন। আরও একবার ব্যর্থ লখনউ অধিনায়ক। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি প্লেয়ার তিনি। অথচ চলতি মরশুমে একটি অর্ধশতরান ছাড়া বলার মত কোনও ইনিংসই নেই। পন্থ আউট হওয়ার পরই মোটামুটি ম্য়াচের ফল কী হতে পারে, তা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল। তবুও প্রথমে মিলার ও পরে সামাদকে নিয়ে একটা মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন আয়ুশ বাদোনি। কিন্তু পারলেন না।