আবুধাবি: আইপিএলের মিনি নিলাম থেকে জশ ইংলিশকে দলে নিয়েছে লখনউ সুপারজায়ান্টস। অস্ট্রেলিয়ার তারকা উইকেট কিপার ব্যাটারের জন্য মোট ৮.৬ কোটি টাকা খরচ করেছে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিন্তু এত টাকা দিয়ে ইংলিশকে দলে নেওয়ার পর হঠাৎ করেই প্রশ্ন উঠছে লখনউয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে। কিন্তু কেন?
অজি তারকার বেস প্রাইস ছিল ২ কোটি টাকা। কিন্তু সেখান থেকেই ৮ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করে ইংলিশকে নেয় লখনউ। কিন্তু আগামী আইপিএল মরশুমে মাত্র ৪টি ম্য়াচেই খেলতে পারবেন ইংলিশ। অজি ক্রিকেটার নিলামের আগেই জানিয়েছিলেন যে তিনি পুরো টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন না। মাত্র চারটি ম্য়াচই খেলবেন। তার কারণ হিসেবে ডানহাতি ব্যাটার জানিয়েছিলেন যে আইপিএলের ১৯ তম সংস্করণ চলার সময়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন। তাহলে এত টাকা খরচ করে মাত্র ৪ ম্য়াচের জন্য কেন লখনউ দলে নিল ইংলিশকে! এটাই কারও মাথায় ঢুকছে না।
পঞ্জাব কিংসের জার্সিতে গত মরশুমেও খেলেছেন ইংলিশ। কিন্তু এবার নিলামের আগে তাঁকে ছেড়ে দিয়েছিল পঞ্জাব। নিলামের টেবিল থেকে ইংলিশকে এরপর তুলে নেয়। শুরুর দিকে কয়েকটি ম্য়াচে খেলবেন অজি ব্যাটার। সেই ম্য়াচগুলোতেই বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের মধ্যে দিয়ে লখনউকে জয় এনে দিতে পারেন ইংলিশ।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক আইপিএলের প্রত্যেক মরশুমে কে কে সর্বাধিক দাম পেয়েছেন
২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম মরশুমে কেকেআরের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ছিলেন ইশান্ত শর্মা। তাঁকে ৩.৮০ কোটি টাকা দিয়ে দলে নিয়েছিল নাইট শিবির। ২০০৯ সালে মাশরাফি মোর্তাজা ২.৯০ কোটি। ২০১০ সালে শেন বন্ড ৪.৮০ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। ২০১১ সালে গৌতম গম্ভীর ১১.০৪ কোটি টাকা মূল্যে দিল্লি থেকে কেকেআরের এসেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই এরপর ২০১২ ও ২০১৪ মরশুমে আইপিএল জেতে কেকেআর। ২০১২ সালে ব্রেন্ডন ম্য়াকালাম ৪.৪০ কোটি টাকা মূল্যে দলে এসেছিলেন। ২০১৩ মরশুমে সচিত্র সেনানায়কে ৩.৩০ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। ২০১৪ সালে জ্যাক কালিস ৫.৫০ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। ২০১৫ সালে কে সি কারিয়াপ্পা ২.৪০ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। ২০১৬ সালে জয়দেব উনাদকাট পেয়েছিলেন ১.৬০ কোটি টাকা। ২০১৭ মরশুমে কিউয়ি পেসার ট্রেন্ট বোল্টকে ৫ কোটি টাকা দিয়ে কেকেআর দলে নিয়েছিল। ২০১৮ মরশুমে ক্রিস লিনকে ৯.৬০ কোটি টাকা দিয়েছিল কেকেআর। ২০১৯ সালে কার্লোস ব্রেথওয়েটকে ৫ কোটি টাকা দিয়ে দলে নিয়েছিল কেকেআর। ২০২০ সালে প্যাট কামিন্সকে ১৫.৫০ কোটি টাকায় দলে নেয় কেকেআর। ২০২১ সালে শাকিব আল হাসানের পেছনে ৩.২০ কোটি টাকা খরচ করে কেকেআর। শ্রেয়স আইয়ারকে ২০২২ সালে ১২.২৫ কোটি টাকা দিয়ে দলে নেয় নাইটরা। ২০২৩ সালে শাকিবকে ফের ১.৫০ কোটি টাকায় দলে নেয় নাইটরা।