শারজা: দিল্লি ক্য়াপিটালসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের রাস্তা আরও চওড়া করে ফেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে জয়ের রাতে বড়সড় চোট পেতে পারতেন কেকেআরের উইকেটকিপার-ব্যাটার দীনেশ কার্তিক। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন তিনি।
শারজায় অল্পের জন্য বড়সড় চোটের হাত থেকে রক্ষা পেলেন দীনেশ কার্তিক। ঋষভ পন্থের ব্যাটের আঘাতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হতো কেকেআরের উইকেটকিপারকে। কিন্তু কেন? কী এমন হয়েছিল?
দিল্লি ইনিংসের ১৭তম ওভারে বরুণ চক্রবর্তী নিজের চতুর্থ ওভার বল করছিলেন। প্রথম বলেই পন্থ অন সাইডে বড় শট নেওয়ার চেষ্টা করেন। বল ব্যাটে ঠিকমতো সংযোগ হয়নি। ব্যাটের নীচের দিকের কানায় লাগে বল। পরে প্যাডে লাগার পর বল লাফিয়ে উঠলে স্টাম্পে যাচ্ছিল। পন্থ সেটিকে আটকানোর চেষ্টা করেন বিপজ্জনকভাবে।
কার্যত রিভার্স স্যুইপের মতো করে পন্থ ব্যাট চালান পিছন দিকে। দীনেশ কার্তিক স্টাম্পের ঠিক পিছনেই কিপিং করছিলেন। তিনি উৎসাহী হয়ে এক পা এগিয়ে বলের গতিবিধির দিকে তাকিয়েছিলেন। পন্থের ব্যাট ঠিক কার্তিকের মুখের সামনে দিয়ে চলে যায়। অল্পের জন্য আঘাত পাননি কার্তিক। পরে অবশ্য পন্থ ক্ষমা চেয়ে নেন।
মরুদেশে ব্যাটে-বলে সফল সুনীল নারাইন। ক্যারিবিয়ান তারকার দাপটে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে স্বস্তি ফিরল কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে। ১১ ম্যাচের শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে চার নম্বরে কেকেআর। প্লে অফের দৌড়েও ভালমতোই রইল শাহরুখ খান, জুহি চাওলার দল।
প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি তুলেছিল ১২৭/৯। বল হাতে সফল সুনীল নারাইন। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট। কেকেআর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কৃপণ ক্যারিবিয়ান বিস্ময় স্পিনারই। শিকারের তালিকায় দিল্লির অন্যতম সেরা ব্যাটার শ্রেয়স আইয়ার। রান তাড়া করতে নেমে কেকেআরের শুরুটা ভাল হয়েছিল। কিন্তু একটা সময় পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কেকেআর। ১৫ ওভারের শেষে ৯৮/৫ হয়ে যায় স্কোর। ৩০ বলে জেতার জন্য ৩০ রান বাকি ছিল। শারজার উইকেটে যা বেশ কঠিন লক্ষ্য বলেই মনে করা হচ্ছিল।
টানটান পরিস্থিতিতে ব্যাট হাতেও খেলা ঘোরালেন নারাইন। দিল্লির সেরা পেসার কাগিসো রাবাডার এক ওভারে ২১ রান তুললেন। দুটি ছক্কার পাশাপাশি মারলেন একটি চার। ওই একটা ওভারেই ঘুরে গেল ম্যাচ। পরের ২৪ বলে মাত্র ৯ রান দরকার ছিল কেকেআরের। নারাইন ১০ বলে ২১ রান করে আউট হন।