নয়াদিল্লি: এক করোনায় রক্ষে নেই গড়াপেটা দোসর!
আইপিএলে ফের গড়াপেটার ছায়া! তবে এবার কোনও ক্রিকেটার নয়, পুলিশের জালে ধরা পড়ল দুই জুয়াড়ি। বেশ অভিনব কায়দায় বেটিংয়ের চেষ্টা করেছিল ওই দুজন। টিভিতে ম্যাচের সম্প্রচার আর মাঠের ম্যাচের মধ্যে সামান্য কয়েক সেকেন্ডের ফারাক থাকে। অর্থাৎ, মাঠে রোহিত শর্মা হয়তো ছক্কা মেরেছেন। টিভিতে তখন দেখাচ্ছে বোলার রান আপ ধরে দৌড় শুরু করবেন। তাই জুয়াড়িরা এখন ছলে বলে কৌশলে মাঠে থাকার চেষ্টা করছে। টিভিতে দেখানোর আগে মাঠ থেকে ধারাভাষ্য দেওয়ার মতো করে ম্য়াচের বিবরণী ফোনে বলতে থাকে কেউ। তার ওপর ভিত্তি করে মুহূর্তে বড় অঙ্কের বেটিং হয়। এই ধরনের বেটিংকে বলা হয় "পিচ সাইডিং"।
সম্প্রতি দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা থেকে এরকমই দুই বুকিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। দুজনই মাঠ থেকে সরাসরি ফোন মারফত ম্য়াচের একেবারে টাটকা আপডেট পাঠাচ্ছিল বলে অভিযোগ। দুজনকেই গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতিদমন বিভাগের প্রধান সাব্বির হুসেন বলেছেন, 'আমাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে দিল্লি পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।'
আর একজনকে সন্দেহ করা হলেও জিজ্ঞাসাবাদের ফাঁকে পুলিশের হাতে ফোন রেখেই পালায় সে। এবং চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কারণ ওই ব্যক্তি নকল পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে সাফাইকর্মী সেজে মাঠে ঢুকেছিল। সাব্বির জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ফোনে টানা কথা বলে যাচ্ছিল। সাব্বির বলেন, 'সন্দেহ হওয়ায় আমাদের এক অফিসার গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করে কার সঙ্গে ফোনে কথা বলছে। ওই ব্য়ক্তি জানায়, সে তার বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলছিল। আমাদের অফিসার রিডায়াল করতে বলে। তখন ওই ব্যক্তি ফোনটি অফিসারকে দেয়। সেই ফাঁকেই দৌড়ে পালায়। সম্ভবত প্রভাবশালী কোনও জুয়াড়িকে খবর দিচ্ছিল ওই ব্যক্তি। গলায় বোর্ডের দেওয়া পরিচয়পত্রের মতো দেখতে নকল কার্ড ছিল। এই ধরনের পরিচয়পত্র সাফাইকর্মী থেকে শুরু করে বাসচালক, ম্যাচ আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত সকলকেই দেওয়া হয়। আমরা দিল্লি পুলিশকে জানাই। পুলিশ তৎপর হয়। তারপরেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।'