দুবাইঃ একটা সময় মনে হচ্ছিল যে স্কোর হয়ত দেড়শো ছুঁতে পারবে না। কিন্তু মিডল অর্ডারে পার্টনারশিপ গড়েই সেই ভুল ভেঙে দিলেন ঋষভ পন্থ ও শিমরন হেটমায়ের। এই জুটির উপর ভর করে সিএসকের বিরুদ্ধে ২০ ওভার শেষে ১৭২/৫ তুলল দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথমে পৃথ্বী শ তাঁর ব্যাটিং ঝড় তুলেছিলেন। জদিও শুরুতে তিনি যোগ্য সঙ্গী পাননি। কিন্তু পৃথ্বী আউট হয়ে যাওয়ার পর মিডল অর্ডারের হাল ধরেন শিমরন হেটমায়ের ও ঋষভ পন্থ। 

 

এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। চলতি আইপিএলে এর আগের ২ বারের সাক্ষাতে একবারও দিল্লির বিরুদ্ধে জয় পায়নি সিএসকে। কিন্তু এই ম্যাচে জয় পেলে সরাসরি ফাইনালের টিকিট পাওয়া যাবে। এমএসের সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল, তার প্রমাণ দিয়েছিলেন বোলাররাও। একের পর এক দিল্লির ব্যাটিং লাইন আপের প্রত্যেকেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে থাকেন। তবে পৃথ্বী শ ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি ৩৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনি। শিখর ধবন, শ্রেয়স আইয়ার ও অক্ষর পটেল প্রত্যেকেই ব্যর্থ হন। তবে ঋষভ পন্থ এসে খেলার সামাল দেন। হেটমায়েরকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ড সচল রাখার কাজটা করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে যখন আউট হন পন্থ, তখন তাঁর নামের পাশে ৩টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা। হেটমায়েরও তাঁর ৩৭ রানের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা মারেন। চেন্নাই বোলারদের মধ্যে এদিন ২ উইকেট নেন জশ হ্যাজেলউড। ১টি করে উইকেট নেন ডোইয়েন ব্র্যাভো, মঈন আলি ও রবীন্দ্র জাদেজা। তবে চেন্নাইয়ের আরও ২ তারকা বোলার দীপক চাহার ও শার্দুল ঠাকুর এই ম্যাচে কোনও উইকেট পাননি।