আমদাবাদ: কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইনিংস ১৫৪/৬ স্কোরে শেষ হওয়ার পরই ধারাভাষ্যকারেরা বলছিলেন, অন্তত ১৭০ রান ওঠার মতো পিচ ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার যদি দুশোও তুলত কেকেআর, ম্যাচ জিততে পারত কি?


কারণ, কেকেআরের দেড়শো রান হেলায় তুলে দিল দিল্লি ক্যাপিটালস। আর রান তাড়া করায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন পৃথ্বী শ। মাত্র ৪১ বলে ৮২ রান করলেন। স্ট্রাইক রেট? দুশো। ১১টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন মুম্বইয়ের ক্রিকেটার। রান তাড়া করতে নেমে শিবম মাভির প্রথম ওভারের ৬ বলে ৬টি বাউন্ডারি মারেন পৃথ্বী। প্রথম ওভারে দিল্লি তোলে ২৫ রান। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্যাট কামিন্সের বলে পৃথ্বী যখন আউট হলেন, তখন ম্য়াচ কার্যত দিল্লির ঝুলিতে জমা পড়ে গিয়েছে।


পৃথ্বীকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন শিখর ধবন। ৪৭ বলে ৪৬ রান করলেন তিনি। ওপেনিং জুটিতে দিল্লি তুলল ১৩.৫ ওভারে ১৩২ রান। ২১ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নিল দিল্লি। এই জয়ের ফলে ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে এল দিল্লি। সমসংখ্যক ম্যাচে ৪ পয়েন্ট কলকাতার। প্লে অফের দৌড় থেকে দূরে সরছে শাহরুখ খানের দল।


এদিন শুরুতে ব্যাট করে কেকেআর তোলে ১৫৪/৬। ফের কলকাতা নাইট রাইডার্সের রক্ষাকর্তা হয়ে হাজির হলেন আন্দ্রে রাসেল। ২৭ বলে ৪৫ রান। ২ চার ও ৪টি ছক্কা। একটা সময় ১২০ রানের লক্ষ্যে হাঁটা কেকেআরের স্কোর দেড়শোর গণ্ডি পার করেছিল রাসেলের অপরাজিত ইনিংসে ভর করেই। তবু সেই ছনম্বরেই ব্যাট করতে হচ্ছে ক্যারিবিয়ান তারকা অলরাউন্ডারকে।


বৃহস্পতিবার রাসেলের জন্মদিন। ৩২ বছর সম্পূর্ণ করলেন মাসল রাসেল। আর সেদিনই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন। একদিক থেকে যখন একের পর এক উইকেট পড়ে কেকেআর চাপে, শুভমন গিল (৩৮ বলে ৪৩ রান) ছাড়া কেউ বলার মতো রান করেননি, তখন ফের বিধ্বংসী ইনিংস রাসেলের। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কেন বারবার রাসেল এত কম সময় ক্রিজে কাটানোর সুযোগ পাবেন? কেন তাঁকে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরের দিকে তুলে এনে আরও বেশি বল খেলার সুযোগ করে দেওয়া হবে না? বিশেষ করে রাসেল নিজেই একাধিকবার ওপরের দিকে ব্যাট করার ইচ্ছের কথা প্রকাশ করেছেন।


যদিও রাসেলের লড়াই শেষ পর্যন্ত কাজে এল না।