চেন্নাই: ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে দুই উইকেট। যার মধ্য়ে একটা আবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির। আর একটি রজত পাতিদারের। অথচ ওই এক ওভার বল করিয়েই আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেওয়া হল বরুণ চক্রবর্তীকে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক অইন মর্গ্যানের যে কৌশল দেখে বিস্মিত শাহরুখ খানের দলের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন গৌতম গম্ভীর। কেকেআর ৩৮ রানে আরসিবির কাছে ম্যাচ হারার পর চাঁচাছোলা ভাষায় মর্গ্যানকে আক্রমণ করলেন গম্ভীর। যে মর্গ্যান এক সময় কেকেআরে তাঁর নেতৃত্বে খেলেওছেন।


রবিবার বিরাট দ্রুত ফিরলেও প্রথমে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও পরে এ বি ডিভিলিয়ার্স রুদ্রমূর্তি ধারণ করে স্কোর কেকেআরের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে চলে যান। যা দেখে গম্ভীর বলছেন, “রাসেল তো খারাপ বোলিং করেছে, ম্যাচের শেষ দিকে মর্গ্যানও খুব বাজে অধিনায়কত্ব করল। বিরাট কোহলি বা রোহিত শর্মা এমন ভুল করলে ওদের সরানোর দাবি উঠে যেত। এত বোকার মতো অধিনায়কত্ব কোনও দিন দেখিনি।” গম্ভীর ইঙ্গিত দেন, বিদেশি বলেই হয়তো সমালোচনার হাত থেকে বেঁচে গেলেন মর্গ্যান।


ম্যাচ শেষ হতেই গৌতি বলেন, “বিরাট কোহলির উইকেট বড় মাপের ছিল। তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে তারপরেই এমন অদ্ভুত নেতৃত্বের বহর কোনওদিন দেখিনি। প্রথম ওভারে যে ছেলেটা দু উইকেট নিল, তাকে পরের ওভারেই আক্রমণ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল! ফর্মে থাকা যে কোনও ব্যাটসম্যান ক্রিজে গেলে মোটামুটি পাঁচ-ছয় ওভার দেখে খেলে। সেই সময় বরুণ যদি ম্যাক্সওয়েলকে ফিরিয়ে দিত ম্যাচ ওখানেই শেষ হয়ে যেত! তারপর এ বি থাকলেও ওর ওপর চাপ থাকত।”


এরপরেই গম্ভীর চাঁচাছোলা ভাষায় জানান, মর্গ্যানের মতো ভুল কোনও ভারতীয় করলে এতক্ষণে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়ে যেত। বলেন, “কোনও ভারতীয় এমন ভুল করেনি দেখে ভাল লাগছে। যদি কোনও ভারতীয় ক্যাপ্টেন এমন সিদ্ধান্ত নিত তাহলে সবাই ছুরি বার করে ফেলত। এমন হাস্যকর অধিনায়কত্ব আগে কখনও দেখিনি। মর্গ্যানের কৌশল ওকেই পাল্টা বিঁধল।”