শারজাঃ দিল্লি ক্যাপিটালসকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারিয়ে আইপিএলের ফাইনালে উঠেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১৩৬ রান তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে কেকেআর। কিন্তু একটা সময় এই জয় যেন হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছিল। ওপেনিংয়ে নেমে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলা ভেঙ্কটেশ আইয়ার তাই ম্যাচে কলকাতার জয়ের পর আর নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। পায়ে হাওয়াই চপ্পল পরেছিলেন। আর সেভাবেই নাকি মাঠে দৌড় দেন তিনি। কিন্তু কেন? তরুণ এই অলরাউন্ডার বলেন, 'হাফ সেঞ্চুরি করার পর আমি সেভাবে সেলিব্রেট করিনি। কারণ, আমি জানতাম যে আমার আরও কাজ বাকি রয়েছে। তাই একবার শুধুমাত্র থাম্ব দেখিয়ে ফের খেলতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু ত্রিপাঠী ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে দেওয়ার পর আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। পায়ে চপ্পল নিয়ে ওইভাবেই মাঠে দৌড়ে গিয়ে ওঁকে জড়িয়ে ধরি। ওই শটটার ভীষণ দরকার ছিল আমাদের।'


বুধবার টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। নাইট বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামনে দিল্লি ক্য়াপিটালস আটকে যায় ১৩৫/৫ স্কোরে। রান তাড়া করতে নেমে দুরন্ত শুরু করে কেকেআর। দুই ওপেনার শুভমন গিল ও বেঙ্কটেশ আইয়ার দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন গোটা টুর্নামেন্টে। বুধবারও মাত্র ১২.২ ওভারে ৯৬ রান যোগ করে ম্যাচ কার্যত শেষ করে দিয়েছিলেন দুজনে। ৪১ বলে ৫৫ রান করে আইয়ার যখন আউট হন, ম্যাচ জিততে কেকেআরের ৪৬ বলে প্রয়োজন ছিল ৪০ রান। হাতে ৯ উইকেট। অতি বড় দিল্লি ভক্তও ভাবতে পারেননি যে, সেখান থেকে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারে তাঁদের দল।


কিন্তু ক্রিকেটকে বলা হয় মহান অনিশ্চয়তার খেলা। আর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাট টি-টোয়েন্টি যে প্রতি পদে পদে নাটকীয়তায় ভরা, তা ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল বুধবার। কারণ এরপরই আচমকা ব্যাটিং ধস নামল নাইটদের। এমনকী একটা সময় ১২৩/২ থেকে ১৩০/৭ হয়ে যায় কেকেআর। শেষ ২ বলে জেতার জন্য কেকেআরের দরকার ছিল ৬ রান। পরপর দুই বলে দুই উইকেট পেয়ে তখন দুরন্ত ছন্দে আর অশ্বিন। শেষ পর্যন্ত তাঁর ওভারের পঞ্চম বলে বিশাল ছক্কা মেরে দলকে ম্যাচ জেতান রাহুল ত্রিপাঠি।