আবু ধাবি: তিনি দলের সঙ্গে মরুদেশে যেতে পারেননি। কিন্তু বৃহস্পতিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দলের দাপুটে জয়ের পর সবচেয়ে খুশি হয়তো হয়েছেন শাহরুখ খান। তাঁর কাছে যে এটা মর্যাদার লড়াই।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৭ উইকেটে হেলায় হারিয়ে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। মুম্বই বরাবরই কেকেআরের শক্ত গাঁট। এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত দুই দলের মুখোমুখি সাক্ষাতে ২২-৬ এগিয়েছিল মুম্বই। অথচ তিনি, শাহরুখ খান যে এই ম্যাচটাই বরাবর সবচেয়ে মরিয়াভাবে জিততে চেয়েছেন। এমনকী, বারবার মুম্বইয়ের কাছে হারতে হারতে এক সময় টিম মিটিংয়ে তো তিনি বলেই ফেলেছিলেন যে, মুম্বই শহর আমাকে বাজিগর বলে ডাকে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচটা অন্তত জেতো।
শাহরুখের ইচ্ছাকে বৃহস্পতিবার পূর্ণ মর্যাদা দিলেন তাঁর ক্রিকেটারেরা। মুম্বইয়ের ১৫৫ রান তাড়া করতে নেমে ১৫.১ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল কেকেআর। ব্যাট হাতে শুরু থেকে দাপট দেখালেন কেকেআরের ব্যাটারেরা। মাত্র ৩০ বলে ৫৩ রান করলেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। আইপিএলে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই হাফসেঞ্চুরি তাঁর। তিন নম্বরে নেমে রাহুল ত্রিপাঠি ৪২ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন রাহুল।
৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে উঠে এল কেকেআর। ৯ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট হয়ে গেল অইন মর্গ্যানদের। সবচেয়ে বড় কথা, পরপর বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতায়, নেট রান রেটেও অনেকটা উন্নতি করেছে কেকেআর। ৯ ম্যাচের পর কেকেআরের রান রেট +.৩৬৩। পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটের জন্যই রাজস্থান রয়্যালস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে কেকেআর।
শুরু দেখে সব সময় হয়তো শেষের ইঙ্গিত পাওয়া যায় না। ক্রিকেটের মতো মহান অনিশ্চয়তার খেলায় তো নয়ই। বৃহস্পতিবার আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে দুরন্ত শুরু করেছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। মাত্র ৯.২ ওভারে ৭৮ রান যোগ করেছিল মুম্বই। এবং সেটাও কোনও উইকেট না হারিয়ে। ক্রিজে তখন প্রথম একাদশে প্রত্যাবর্তন ঘটানো রোহিত শর্মা ও মারমুখী মেজাজে ব্যাটিং করা কুইন্টন ডি'কক। মনে করা হচ্ছিল, দুশো রান তোলার দিকে এগচ্ছে মুম্বই।
তবে তারপরই প্রত্যাঘাত কেকেআর বোলারদের। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, লকি ফার্গুসনরা বল হাতে ঘুরে দাঁড়ান। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৫৫ রান তুলতে সক্ষম হয় মুম্বই। কলকাতার সামনে ম্যাচ জেতার জন্য ১৫৬ রানের লক্ষ্য রাখে। যে লক্ষ্য হেলায় পেরিয়ে *গেল কেকেআর।