শারজা: প্লে অফের দৌড়ে কে কে? পয়েন্ট টেবিলে সাপ-লুডোর খেলা চলছিল। সেই খেলা জমিয়ে দিল রোহিত বাহিনী। শারজায় রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে দিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। একই সঙ্গে প্লে অফের দৌড়েও চলে এল তারা। কলকাতা নাইট রাইডার্সের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে মুম্বই শিবির। রাজস্থানকে এদিন ৮ উইকেটে হারিয়ে দিল রোহিত ব্রিগেড।


বোলাররা কাজটা সহজ করেই দিয়েছিল। পালা ছিল ব্যাটারদের নিজের দায়িত্ব পালনের। সেই দায়িত্বই দারুণভাবে পালন করলেন ঈশান কিষাণ। ২২ গজে এই তরুণ মানেই ব্যাটিং ঝড়ের দেখা মেলা। এদিনও তাঁর ব্য়তিক্রম হল না। রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন। অল্প রানের লক্ষ্যমাত্রা। হেসেখেলে জয় এনে দিলেন দলকে। ২৫ বলে অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংস খেললেন। ছক্কা হাঁকিয়ে অর্ধশতরান পূরণ করলেন ও দলকেও জেতালেন। মাত্র ৮.২ ওভারেই জয় হাসিল করে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। নিজের ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান ঈশান। রান তাড়া করতে নেমে নিজের প্রথম ছয় বলে কোনও রানই করতে পারেননি তিনি। কিন্তু উল্টোদিকে রোহিত প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করেন। তবে ২টো ছক্কা ও ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩ বলে ২২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। সাকারিয়ার বলে ক্যাচ আউট হন মুম্বই অধিনায়ক। এরপর সূর্যকুমার যাদবও বেশিক্ষণ অবশ্য ক্রিজে টিকটে পারেননি। তিনি ৮ বলে ১৩ রান করে আউট হন। যদিও আর কোনও উইকেট হারায়নি মুম্বই। এরপর হার্দিক পাণ্ড্যকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বইয়ের জয় নিশ্চিত করেন ঈশান।


এর আগে এদিন টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায় একশোর গণ্ডিও পেরােতে পারেনি সঞ্জু স্যামসনের দল। মাত্র ৯০ রানে শেষ হয় তাঁদের প্রথম ইনিংস। মুম্বই বোলারদের মধ্যে এদিন সবচেয়ে সফল বোলার নাথান কুল্টার নাইল। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। অন্যদিকে জিমি নিশাম ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। জশপ্রীত বুমরা ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট।