মুম্বই: আগের ম্যাচেই নজির গড়েছিলেন। চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে দুশো ম্যাচ খেলেছিলেন। সোমবার ফের একটি কীর্তি গড়লেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ফেরা হলুদ জার্সিতে। এবার তিনি সিএসকে-র অধিনায়ক হিসাবে দুশোতম ম্যাচ খেললেন। আর খেললেন এমন একটা স্টেডিয়ামে, যে মাঠে জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসাবে তিনি বিশ্বকাপ জিতেছেন। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে।


ধোনির সিএসকে অধিনায়ক হিসাবে দুশোতম ম্য়াচ জিতে স্মরণীয় করে রাখলেন সতীর্থরা। রাজস্থান রয়্যালসকে ৪৫ রানে হারাল সিএসকে। সেই সঙ্গে ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল, বয়স বাড়লেও, ক্যাপ্টেন কুলের ক্ষুরধার মস্তিষ্কে মরচে পড়েনি। রয়ে গিয়েছে ঠিক ২০১১ সালের বিশ্বজয়ী অধিনায়কের মতোই। যে নেতৃত্বের প্রশংসা বারবার শোনা গেল ইরফান পাঠান, পার্থিব পটেল, আকাশ চোপড়াদের মুখে। যে সমস্ত প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা এক সময় ধোনির সঙ্গে খেলেছেন এবং সোমবারের ম্য়াচে ধারাভাষ্যকার হিসাবে কাজ করছিলেন।


আর ম্যাচ জিতে উঠে ধোনি বলে দিলেন, পারফরম্য়ান্সের গ্যারান্টি তিনি দিতে পারবেন না। তবে ফিটনেসের দিক থেকে তিনি সম্পূর্ণ গ্যারান্টি দেবেন। সে বয়স যতই বাড়ুক না কেন, তিনি পাল্লা দিতে পারেন দলের তরুণদের সঙ্গেও।


ধোনির ফিটনেস বরাবরই চর্চার বিষয়। তাঁর রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেটস দেখলে হিংসা করতে পারেন তরুণরাও। এতটাই জোরে দৌড়ন দু'উইকেটের মাঝে। ম্যাচের শেষে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বয়স বাড়লেও এত ফিট কীভাবে? ধোনি বলেন, 'বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফিট থাকাটা ভীষণ কঠিন। পারফরম্য়ান্সের কোনও গ্যারান্টি হয় না। কিন্তু ফিটনেসের হয়। খেলা চালিয়ে যাওয়া কালীন কেউই চাইবে না লোকে বলুক যে সে আনফিট। আমাকে তরুণদের সঙ্গে পাল্লা দিতে হয়। ওরা প্রচুর ছোটে। সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং।'


সোমবার তাঁর বোলার বদল থেকে শুরু করে বিপক্ষের প্রত্যেক ব্যাটসম্যানের জন্য় পরিকল্পনা, ফিল্ডিং সাজানো, সবই নজর কেড়েছে। সেই সঙ্গে ব্যাট হাতেও কিছুটা আগের ধোনির ঝলক দেখা গিয়েছে। ১৭ বলে ১৮ রান করেন তিনি। ক্যাপ্টেন কুলের ফর্মই টুর্নামেন্টের পরবর্তী পর্বে সিএসকে-র সেরা সম্পদ।


ভাগ্য়িস ভারতীয় নয়! কেকেআরের বর্তমান অধিনায়ককে বিদ্রুপ প্রাক্তনীর